naushad siddique
কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে ভাঙড়ে যে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছেল, সেই ঘটনায় এবার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে তলব করল রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি। সেই তলবে সাড়া দিয়ে সোমবার বিধানসভা থেকে বেরিয়েই সোজা সিআইডির দফতর ভবানী ভবনে গেলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) বিধায়ক। এখনও চলছে জেরা।
গত ১৬ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানায় পঞ্চায়েত ভোটে নওশাদের বিরুদ্ধে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই তলব করা হয় নওশাদকে৷ বিধানসভার অধিবেশন শেষ হতেই সিআইডি-র দফতরে পৌঁছন নওশাদ।
তবে শুধু নওশাদ নন, গত ১৬ জুন মোট ৬৮ জনের বিরুদ্ধে কাশীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাঙড় ২ ব্লকের হাটগাছা গ্রামের বাসিন্দা ঋত্বিক নস্কর এই অভিযোগ আনেন৷ তিনি তাঁর অভিযোগপত্রে জানিয়েছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা করানোর জন্য হাটগাছার কয়েক জন বাসিন্দাকে নিয়ে তিনি এবং তাঁর শ্বশুর রাজু নস্কর ভাঙড় ২ ব্লকের দিকে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময় পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় তাঁদের। পানাপুকুরের কাছে তাঁদের দু’জনকেই রাস্তায় ফেলে বাঁশ, লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়৷ ওই দুষ্কৃতীদের কাছে বোমা-বন্দুকও ছিল। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার পর টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর শ্বশুর রাজু নস্করকে খুন করে অভিযুক্তরা৷ এমনকি, মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরপর গুলিও চালানো হয়। কোনও ভাবে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন ঋত্বিক। তাঁর দাবি, এর হামলার নেপথ্যে ছিলেন নওশাদের আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই। নওশাদের ‘চক্রান্ত এবং প্ররোচনা’তেই তাঁদের উপর এই হামলা চালানো হয়েছিল বলেও দাবি ঋত্বকের৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই নওশাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে কাশীপুর থানার পুলিশ। সেই মামলাতেই সোমবার নওশাদকে তলব করেছিল সিআইডি।