ব্রেকিং: নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার, নির্দেশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের

ব্রেকিং: নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি ও ব্যবহার, নির্দেশ জাতীয় পরিবেশ আদালতের

নয়াদিল্লি: কালীপুজো, দীপাবলির রাতে দেখা না আতজ বাজির ঝলক৷ রাজধানী দিল্লিতে সকল প্রকার বাজি বিক্রি ও ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল গ্রিন ট্রাইবুনাল৷ আজ মধ্যরাত থেকেই এই নির্দেশ লাগু করা হবে৷ ৩০ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে বলে পিটিআই সূত্রে খবর৷

গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যে সকল শহরে বাতাসের মান ‘মাঝারি’ বা তার চেয়ে কম, সেখানে শুধুমাত্র ‘গ্রিন ক্র্যাকার’ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে৷ এবং বাজি পোড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া হবে৷ দিওয়ালি, ছট, নিউ ইয়ার বা ক্রিস্টমাস উপলক্ষে দিনে ২ ঘণ্টা বাজি পোড়ানোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে৷ এছাড়াও প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে উদ্যোগ নিয়ে বায়ু দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে৷ কারণ কোভিড পরিস্থিতিতে ‘খারাপ’ বাতাস আরও বেশি করে বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ এর উপর রয়েছে শীতের প্রকোপ৷ শীতকালে এমনিই দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে৷ ওডিশা, রাজস্থান, সিকিম, এনটিসি দিল্লি এবং কেন্দ্র শাসিত চণ্ডীগড়ে বাজি বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ বৃদ্ধ, শিশু এবং যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত৷ নির্দেশ অমান্যকারীকে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০০৫ অনুসারে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে৷

ওডিশা সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যেখানে দীপাবলি এবং কার্তিক পূর্ণিমার উৎসব পালিত হয় এবং মানুষ আতসবাজি পোড়ানোর মত্ত হন, সেখানে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে৷ এদিকে ইতিমধ্যে রবিবার দিল্লি পুলিশ রাজধানীর সকল বাজি বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল করে দিয়েছে৷ ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের পরবর্তী নির্দেশ আসার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে৷ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজি বিক্রি করার অভিযোগে সাত জন বাজি বিক্রেতাকে গ্রেফতারও করেছে দিল্লি পুলিশ৷ তাঁদের কাছ থেকে ৬০০ কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 + eight =