কলকাতা: ফের বিনোদন জগতে নক্ষত্রপতন৷ প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরষ্কারজয়ী অভিনেত্রী উত্তরা বাওকর। দীর্ঘ অসুস্থতার পর মঙ্গলবার পুনের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তাঁর মৃত্যুতে অভিনয় জগতে শোকের ছায়া৷
আরও পড়ুন- সমালোচনা থাকবেই, ভালোবাসার মানুষ বেশি
টেলিভিশনের পর্দাতেই প্রথম অভিষেক তাঁর৷ দূরদর্শনের হাত ধরেই অভিনেত্রী উত্তরা বাওকরের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল দর্শকদের৷ গোবিন্দ নিহালনির ‘তমস’ ও ‘রুকমাবতী কি হাভেলি’ ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয় সাড়া ফেলেছিল। পরে ১৯৮৯ সালে মৃণাল সেনের ‘একদিন অচানক’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে সিলভার স্ক্রিনে আত্মপ্রকাশ ঘটে উত্তরা বাওকরের। ওই ছবিতে অধ্যাপকের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। ছবির মোড় পাল্টায় স্বামীর হঠাৎ করে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর৷ অধ্যাপক স্বামীর অপেক্ষায় বসে থাকেন উত্তরা৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলে ছবির গল্প৷ এই ছবির জন্যই সেরা সহ অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন উত্তরা বাওকর৷ ১৯৮৪ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির তরফেও বিশেষ সম্মান পেয়েছিলেন ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার কৃতী ছাত্রী।
টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ উত্তরা অভিনয় করেছেন একাধিক হিন্দি এবং মরাঠি ছবিতেও। পর্দায় কাজ শুরুর আগে দীর্ঘ সময় থিয়েটার করেছেন৷ অধ্যাপনাও করেছেন বেশ কয়েক বছর। শ্যাম বেনেগলের ‘যাত্রা’ এবং গোবিন্দ নিহালনির ‘তামস’ দিয়ে তিনি টেলিভিশনের পর্দায় অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু করেন।
‘রুক্মাবতী কি হাভেলি’, ‘দঘি’, ‘সর্দারি বেগম’, ‘বাস্তুপুরুষ’ ‘আজা নাচলে’, ‘ডর’ প্রভৃতি ছবিতে উত্তরার অভিনয় তাঁকে দর্শকের মনে বিশেষ জায়গা তৈরি করে দিয়েছিল। জনপ্রিয় হয়েছিল উত্তরা অভিনীত টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলিও। তাঁর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ‘উড়ান’, ‘অন্তরাল’, ‘রিশতে কোরা কাগজ’, ‘জসসি জ্যায়সি কোই ন্যাহি’ প্রভৃতি ধারাবাহিক। অবশেষে ক্যানসারের ছোবলে নিভল উত্তরার জীবনপ্রদীপ৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>