নিউ ইয়র্ক: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল আকৃতির এক গ্রহাণু। ঝড়ের গতিতে ছুটে আসছে নীল গ্রহের দিকে৷ মঙ্গলবারই তা পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে। এই গ্রহাণু নিয়ে সতর্ক করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাসটেরয়েড ২০২৩জেকে১। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ঘণ্টায় ৩১ হাজার ২২৭ কিলোমিটার বেগে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি। যার অভিমুখ পৃথিবীর দিকে। গ্রহাণুটি আকারে আস্ত একটি বিমানের সমান। চওড়ায় ৯১ থেকে ২০৩ ফুট হবে৷ গ্রহাণুটি একটি এবড়োখেবড়ো পাথরখণ্ড। এটি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এলেও নীল গ্রহের উপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। আজ, মঙ্গলবারই গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছাকাছি চলে আসবে৷ পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব হবে ৬৫ লক্ষ কিলোমিটার। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মহাকাশের বিচারে ৬৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব মোটেই বেশি নয়৷ সে কারণেই অ্যাসটেরয়েড ২০২৩জেকে১-কে ‘পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু’র তকমা দেওয়া হয়েছে।
মহাকাশে গ্রহাণুদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে তাদের বিভিন্ন কেন্দ্রে একাধিক টেলিস্কোপ এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি বসিয়ে রেখেছে নাসা। এমনই একটি যন্ত্র রয়েছে আমেরিকার হাওয়াই দ্বীপে৷ সেখানে রয়েছে টেলিস্কোপ প্যানস্- স্টারআরএস১। এছাড়াও আমেরিকার আরিজোনা প্রদেশের ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে থেকেও গ্রহাণুর উপর নজর রাখা হয়। শুধু গ্রহাণু নয়, যে কোনও মহাজাগতিক বস্তুর গতিবিধির উপরেই নিয়মিত নজর রাখেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
তবে পৃথিবীর চারপাশে গ্রহাণুর আনাগোনা কোনও নতুন বিষয় নয়। মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, ছোট বড় নানা আকৃতির গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। তবে পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে আসার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। নাসা অবিরত গ্রহাণুগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখে এবং তাদের সতর্কও করা হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>