নিউ ইয়র্ক: ২০৬৮ সাল। শুনতে দূর মনে হলেও আগামীর সেই বছর আসতে আর অর্ধশতাব্দীও অপেক্ষা করতে হবে না। আর এই বছরেই নাকি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে অ্যাপোফিস। কী সেটা? আর কিছুই নয়, অ্যাপোফিস হল একটি গ্রহাণু। মহাকাশ জুড়ে প্রতিনিয়ত যে অবিশ্রান্ত রহস্য দানা বেঁধে চলেছে, পৃথিবীর বুকে অ্যাপোফিসের আছড়ে পড়াও সেই চিরন্তন রহস্যময়ের কোনো এক খেয়াল হতে চলেছে, অন্তত তেমনটাই গুজব ছড়িয়েছিল বিজ্ঞানী মহলে।
কিন্তু এদিন বহু চর্চিত এই সম্ভাবনাকে নিয়েই একটি জবাব দিলেন ন্যাশানাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অর্গানাইজেশনের (NASA) বিজ্ঞানীরা। সত্যিই কি এমন কোনো গ্রহাণু আছড়ে পড়তে চলেছে পৃথিবীর বুকে? সত্যিই কি প্রাণের স্পন্দনে মুখরিত পৃথিবীর ইতি ঘটতে চলেছে অ্যাপোফিসের ধাক্কায়? উত্তর হল না। এদিন নাসার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, মহাকাশ বিজ্ঞানী মহলে অ্যাপোফিস নিয়ে প্রচলিত ধারণা আদতে গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। গ্রহাণুর ধাক্কার ধারণাকে একেবারেই অমূলক বলেও মন্তব্য করেছেন নাসার গবেষকগণ।
বস্তুত, অ্যাপোফিস নিয়ে পৃথিবীর বিজ্ঞানী মহলে চর্চা জারি রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। প্রথমে ২০০৪ সালে এই গ্রহাণুর সন্ধান পান নাসার বিজ্ঞানীরাই। যে সমস্ত গ্রহাণুর ধাক্কায় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার মধ্যে প্রথম সারিতেই ছিল এই অ্যাপোফিস। গবেষণা যত এগিয়েছে, অ্যাপোফিসের আক্রমণের জন্য ততই আশঙ্কিত হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞানী মহল। কখনো বলা হয়েছে ২০২৯ সালে অ্যাপোফিস ধাক্কা মারবে পৃথিবীতে, কখনো বা ২০৩৬ সালে এই সংঘর্ষের আশঙ্কায় চিন্তিত হয়েছেন মহাকাশ গবেষকরা। অবশেষে ২০৬৮ সালকে এই বহু চর্চিত মহাকাশ সংঘর্ষের জন্য যথাযথ বছর হিসেবে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সব আশঙ্কাই এদিন উড়িয়ে দিল নাসা।
অ্যাপোফিস সম্পর্কে এদিন নাসার গবেষক ডেভিড ফারনোচ্চিয়া জানিয়েছেন, “২০৬৮ সাল গ্রহাণু অ্যাপোফিসের সঙ্গে পৃথিবীর এই সংঘর্ষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমাদের গণনা অনুযায়ী, আগামী ১০০ বছরেও এমন কোনো সংঘর্ষ হবে না।”