এ যেন অবিকল পৃথিবী! মহাকাশে মিলল কি নতুন বিশ্বের সন্ধান?

এ যেন অবিকল পৃথিবী! মহাকাশে মিলল কি নতুন বিশ্বের সন্ধান?

 নয়াদিল্লি: গুরুগ্রহ বৃহস্পতির যে চাঁদ রয়েছে, এতদিন সেটাই ছিল মহাকাশে পৃথিবী সদৃশ৷ এর বাইরে নীল গ্রহের আর কোনও দোসর এতদিন খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা৷ তবে এবার হুবহু পৃথিবীর মতো দেখতে এক গ্রহের সন্ধান পেলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। তবে তার অবস্থান সৌরজগতের মধ্যে নয়। পৃথিবীর এই যমজ গ্রহ রয়েছে সৌরমণ্ডলের বাইরে৷

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর থেকে প্রায় ৯০ আলোকবর্ষ দূরে দক্ষিণে অবস্থিত কনস্টেলেশন ক্রেটার মধ্যে এই গ্রহের অবস্থান৷ তবে আকারে এটি পৃথিবীর চাইতে সামান্য বড়৷ এই গ্রহের মধ্যে একটি ছোট লাল বামন নক্ষত্রেরও দেখা মিলেছে৷ যার চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে এই গ্রহ। 

নাসার বিজ্ঞানীরা এই গ্রহটির নাম দিয়েছেন এলপি 791-18 ডি৷ এই গ্রহেও বৃহস্পতির চাঁদ আইওর মতো প্রায়ই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ঘটে থাকে। ট্রানজিটিং এক্সোপ্ল্যানেট সার্ভে স্যাটেলাইট (টিইএসএস) এবং স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই ভিনগ্রহের বিশ্ব ধরা পড়েছে৷  এই গ্রহে শুরু হয়েছে প্রাণের অনুসন্ধান৷

এর আগেও পৃথিবীর অনুরূপ এক গ্রহর সন্ধান পেয়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। নতুন আবিষ্কৃত পৃথিবীর সেই দোসর ‘রস ৫০৮বি’ তার পৃষ্ঠে জল ধারণ করতে সক্ষম বলেও মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। জল থাকলেই বাড়ে জীবন থাকার সম্ভাবনা৷ এই গ্রহেও জীবনের সন্ধান মিলতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশা। এই গ্রহ কম ভরের এম বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে। এ ধরনের গ্রহগুলিতে জীবনের সম্ভাবনা কতখানি তা নিয়ে ভবিষ্যতের পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

তাঁদের আরও পর্যবেক্ষণ, লালবামন নক্ষত্রগুলি আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই বামন নক্ষত্রগুলির নিজস্ব একটা জগত রয়েছে। সেখানেও মিলেছে অনেক এক্সপ্ল্যানেটের খোঁজ। রয়েছে পৃথিবীর থেকে বড় সুপার আর্থ৷ প্রসঙ্গত,  সৌরজগতের বাইরে থাকা কোনও গ্রহকে এক্সোপ্ল্যানেট বলা হয়।

স্পেস ডট কমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমাদের পৃথিবীর খুব কাছেই এই সুপার-আর্থের হদিশ মিলেছে। গবেষকরদের কাছে যা মহাকাশ বিজ্ঞানের এক অমূল্য আবিষ্কার৷ কারণ এখানে জীবনের সন্ধান মিলতে পারে বলে অনুমান। জাপানের বিজ্ঞানীরা চলতি বছরের মে মাসে প্রথম সুপার আর্থের দেখা পেয়েছিলেন৷ বাসযোগ্য অঞ্চলের কাছাকাছি ওই সুপার আর্থের অবস্থান বলেও জানতে পারা গিয়েছে৷