হাসছে সূর্য, ওই হাসিতেই লুকিয়ে বিপদ, ছবি ধরা পড়ল নাসা-র ক্যামেরায়

হাসছে সূর্য, ওই হাসিতেই লুকিয়ে বিপদ, ছবি ধরা পড়ল নাসা-র ক্যামেরায়

নিউ ইয়র্ক:  হাসছে সূয্যি মামা৷ গালে পড়ছে টোল৷ এক ঝলকে সূর্যের এই ছবি দেখলে এমনই মনে হবে৷ তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন এই হাসির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে বিপদের অশনি সংকেত৷ 

আরও পড়ুন- প্রয়াত ওআরএস-এর জনক বাঙালি চিকিৎসক দিলীপ মহালানবিশ, কেন নোবেলের জন্য মনোনীত নয়?

সম্প্রতি সূর্যের হাসির এই ছবিটি ধরা পড়েছে নাসা-র সোলার ডায়নামিক অবজারভেটরিতে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের গালে পড়া তিনটি কালো টোল-এ লুকিয়ে রয়েছে ভয়ঙ্কর এক বিপদ। বিজ্ঞানীদের দাবি, আসলে ওই কালো অঞ্চলগুলি থেকে বেরিয়ে আসছে অত্যন্ত শক্তিশালী সৌর ঝড়। ওইসব কালো দাগ পর্যালোচনা করে বিজ্ঞানীদের অনুমান, ২৮ অক্টোবর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে একটি সৌর ঝড়। 

সূর্যের হাসির খবরটি প্রকাশ করেছে SpaceWeather.com। ওই সাইটের দাবি, ‘‘সূর্যের ছবি দেখে মনে হচ্ছে, সে যেন হাসছে৷ আসলে সূর্যের পরিমণ্ডলে যে গর্ত রয়েছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে একটি জটিল সৌর ঝড়। যে ঝড়ের অভিমুখ পৃথিবীর দিকে।’’  এখানে বলে রাখা ভাল, সূর্যের বুকে যেসব কালো গর্ত দেখা যাচ্ছে, তাদের নাম করোনাল হোল। এখান থেকেই সৌর ঝড়ের উৎপত্তি। ওইসব জায়গা থেকেই  বেরিয়ে আসে মারাত্মক রশ্মি। যা অতিবেগুনি প্রকৃতির৷ ফলে এর থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাও খুব বেশি।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই সৌরঝড় যদি পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়ে তাহলে বড়সড় ক্ষতি হবে৷ এই ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতখানি তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ সৌরঝড়ের চরিত্র বড় জটিল। এর প্রভাবে পৃথিবীর চৌম্বক অক্ষের উপর প্রবল প্রভাব আসত পারে। প্রভাব পড়তে পারে জিপিএস ও রেডিও তরঙ্গের উপরেও৷  আতঙ্কের এখানেই শেষ নয়৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের সৌরঝড়ের ফলে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা উপগ্রহগুলিও ধ্বংস হতে পারে। পাশাপাশি সর্টওয়েভ রেডিও, মোবাইল পরিষেবা-সহ ইন্টারনেট পরিষেবাও ভেঙে পড়তে পারে৷