কলকাতা: বর্ষা নামার আগে রাজ্যজুড়ে ধুন্ধুমার ব্যাটিং করেছে গ্রীষ্ণ৷ তীব্র গরমে জ্বালাপোড়া ধরেছে রাজ্যবাসীর। চৈত্রের শেষেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কলকাতা শহরে। গরমে নাজেহাল হয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ৷ তারপর থেকে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে হাঁসফাঁস করেছে মানুষ৷ একেবারে গলদগর্ম অবস্থা। ভবিষ্যতে এহেন পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যায়, সেই পরিকল্পনাই করল নবান্ন।
তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিতে কী ভাবে আত্মরক্ষা করতে হবে প্রতিবছরই সে বিষয়ে ‘অ্যাডভাইজারি’ বা ‘নির্দেশিকা’ জারি করে রাজ্য সরকার। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার বিবেচনা করে পাকাপাকি ভাবে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ (এসওপি) তৈরি করল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এই এসওপির উপর ভিত্তি করে জনস্বার্থে কাজ করবে সরকারের মোট ছ’টি দফর, পুরসভা, পঞ্চায়েত এবং জেলা প্রশাসন।
রাজ্যের তৈরি এসওপি অনুযায়ী, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট চালাঘর এবং শেড তৈরির দায়িত্ব পালন করবে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলে তৈরি হবে ছাউনি দেওয়া বাস স্ট্যান্ড। গরমে বাড়াতে হবে পানীয় জলের সরবরাহ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যদফতর প্রস্তুত রাখবে ‘র্যা পিড রেসপন্স টিম’। পর্যাপ্ত পরিমাণে ওআরএস সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যে সকল জায়গাগুলিতে ভিড় জমে, সেই সহ জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্পে ফার্স্ট এডের ব্যবস্থাও রাখতে হবে৷
এছাড়াও বলা হয়েছে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জেলা স্তরে দ্রুত পৌঁছতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করবে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনামূলক প্রচার অভিযান ও শিবিরের আয়োজন করবে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। এছাড়াও পুর ও নগরোন্নয়ন দফরের সহযোগিতায় প্রতিটি পুরসভা ধরে এলাকা ভিত্তিক ‘হিট ওয়েভ অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি হবে। এই এসওপি দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।