জেনেভা: বছরের শুরু থেকেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে টালমাটাল গোটা বিশ্ব। প্রায় সাত মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন বের করতে সক্ষম হয়নি কোনও দেশ। যদিও কয়েকটি দেশ ভ্যাকসিন প্রস্তুত করে নিয়েছে বলে দাবি করেছে, তবুও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের এখনো পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। সুতরাং ভাইরাস পরিস্থিতি এখনো খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলাই যায়। এরই মাঝে ফের একবার কড়া সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। স্পষ্ট জানানো হল, পরবর্তী মহামারীর জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই মন্তব্য আতঙ্ক অনেকটাই বাড়িয়ে দিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এখনো বহু দেশে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত হয়নি। এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমনের জন্য সার্বিক পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল হয়েছে। সেই কারণে, পরবর্তী অতি ভারী বা মহামারীর জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। একইসঙ্গে প্রত্যেক দেশের সরকারকে জনস্বাস্থ্যের খরচ বাড়ানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এর আগেও পৃথিবী একাধিক মহামারী বা অতিমারি দেখেছে, তাই করোনাভাইরাস যে শেষ মহামারী, তা মেনে নেওয়া অসম্ভব। তাই পরবর্তী সংকটের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি রাখতে হবে সকলকে।
স্প্যানিশ ফ্লু থেকে শুরু করে, ইবোলা ভাইরাস, হালে করোনাভাইরাস, বিশ্ববাসীর আতঙ্ক বাড়িয়েছে সবই। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনা। এখনো পর্যন্ত ভ্যাকসিন না বেরোনোর ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে একাধিক দেশ লকডাউন কার্যকরী করার ফলে কিছুটা হলেও ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল ঠিকই, কিন্তু এখন বহু দেশ লকডাউন তুলে নিয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সামরিক পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়ে হঠাৎ লকডাউন তুলে নেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ করোনাভাইরাস যে শেষ মহামারী তা আশা করা বৃথা, কারণ পৃথিবীতে এর আগেও অনেক মহামারী এসেছে, ভবিষ্যতেও আসবে বলে বলা যায়। তাই কোনভাবেই সমগ্র পরিস্থিতি হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। বিগত কিছু সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেলেও, দৈনিক সংক্রমণ উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে রেখেছে। তাই যতদিন না পর্যন্ত ভ্যাকসিন বের হচ্ছে, কতদিন সাধারণ মানুষকে পুরোপুরি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসা নিয়েও সংকোচ রয়ে গিয়েছে। কারণ কিছু কিছু রিপোর্ট বলছে, হয়তো কোন দিনই ভ্যাকসিন আসা সম্ভব হবে না, এদিকে পণ্য রিপোর্ট বলছে আগামী দু’বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিন চলে আসবে করোনাভাইরাসের। বিভিন্ন দেশের একাধিক ভ্যাকসিন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের রয়েছে। আদেও ভ্যাকসিন আসে কিনা তার জন্য এখনও অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই সাধারণের।