পুজোয় অনুষ্ঠান করার ছাড়পত্র, ‘দিদি’কে কৃতজ্ঞতা বাংলার শিল্পীদের

সবকিছুর মতোই করোনা এবং লকডাউনের জেরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিও পড়েছে আর্থিক সংকটে। এদিকে পুজোতে একাধিক সাংস্কৃতিক জলসা ও অনুষ্ঠান সংগীত শিল্পীদের আয়ের বড় জায়গা। কিন্তু করোনার কবলে তাও বন্ধ হওয়ার জোগাড়। সেই কারণেই বুকের মধ্যে আশার বীজ বপন করে মমতা দিদির কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন লোপামুদ্রা, ইমন, জয় সরকারের মতো একাধিক বিখ্যাত সংগীত শিল্পীরা। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোনালেন খুশির খবর।

 

কলকাতা: আর কয়েকদিন পরেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব শুরু হতে চলেছে। কিন্তু চলতি বছর করোনার দাপটে সবকিছুই যেন ঝিমিয়ে রয়েছে। কিন্তু তার মাঝেও বাঙালির পুজো যে কোনওভাবেই ভেস্তে যেতে পারে না, আগেই তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। শনিবার তিনি ঘোষণা করলেন, সবকিছুই যেমন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে, ঠিক তেমন ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজোর অনুষ্ঠান, থিয়েটার, সিনেমা হলও এবার খোলা যাবে। আর এতেই শারদোৎসবের আমেজে মেতেছে বাংলার শিল্পীমহল।

সবকিছুর মতোই করোনা এবং লকডাউনের জেরে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিও পড়েছে আর্থিক সংকটে। এদিকে পুজোতে একাধিক সাংস্কৃতিক জলসা ও অনুষ্ঠান সংগীত শিল্পীদের আয়ের বড় জায়গা। কিন্তু করোনার কবলে তাও বন্ধ হওয়ার জোগাড়। সেই কারণেই বুকের মধ্যে আশার বীজ বপন করে মমতা দিদির কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন লোপামুদ্রা, ইমন, জয় সরকারের মতো একাধিক বিখ্যাত সংগীত শিল্পীরা। সেই আর্জিতে সাড়া দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোনালেন খুশির খবর। তিনি বলেন, “সর্বোচ্চ ৫০ জন দর্শকের উপস্থিতিতে ১ অক্টোবর থেকে আয়োজন করা যাবে অনুষ্ঠান বা থিয়েটার একই সঙ্গে খোলা যাবে সিনেমা হলও।”

 

বাংলা সংগীত জগতের সমস্ত শিল্পীদের মুখ হয়ে গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র পুজোর সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ না করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন। প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেনে এই ধরণের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করার আবেদন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন তিনি। বাংলার শিল্পী মহল সেই পোস্ট সর্বত ভাবে শেয়ার করেন। একইসঙ্গে লোপার কথায় সহমত প্রকাশ করেন গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য, গায়িকা ইমন চক্রবর্তী, প্রমুখরাও। এই মর্মে অধিকাংশ সংগীত শিল্পীই উল্লেখ করেন, পুজোর অনুষ্ঠান দিয়েই গানবাজনার মানুষদের কাজের সময় শুরু হয়। এর থেকে যে রোজগার হয় তার ওপর ভিত্তি করেই সারা বছর চালাতে হয় এমন শিল্পীর সংখ্যাও প্রচুর। তাই এই রোজগার যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সামগ্রিকভাবে অতিমারী পরিস্থিতিতে শিল্পীমহল আরও বিপদের মুখে পড়বে।

শিল্পী মহলের এই করুণ আবেদনে সাড়া দিয়ে শনিবার মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানান, “সব কিছুই যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে, তখন একইসঙ্গে যাত্রা, নাটক, খোলা মঞ্চে থিয়েটার, সিনেমা, সঙ্গীত অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি বা ম্যাজিক শো সমস্ত কিছুই শুরু হওয়া দরকার। তাই আগামী ১ অক্টোবর থেকেই সবকিছু চালু হতে পারে।” স্নেহের দিদির এই ঘোষণায় খুশির আমেজ ভরে উঠছে বাংলার শিল্পী মহলে। লোপামুদ্রা মুখ্যমন্ত্রী ওই পোস্টের একটি স্ক্রিনশট নিয়ে নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, “আমি জানতাম। এটা হবে। ব্যাস, ধন্যবাদ, দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সকলের হয়ে জানালাম।” যাইহোক, ঢাকে কাটি পড়ার অপেক্ষা আর মাত্র কয়েকদিনের। তার মধ্যে এই ঘোষণায় স্বাভাবিক ভাবেই ব্যস্ত হতে শুরু করেছে শিল্পী মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 3 =