কলকাতা: করোনা আতঙ্কে রাজ্যের পুরভোট আপাতত স্থগিত রাখা হবে সে সম্ভাবনা আগেই তৈরি হয়েছিল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানোর পর তা একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। সোমবার সেই সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক ভাবে শিলমোহর দিযেছে কমিশন।এদিন স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন সবার সঙ্গে আলোচনার পর ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক দল পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে। সে কারণে আপাতত পুরসভার ভোট হবে না বলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ওয়ার্ড পূনর্বিন্যাস সহ ভোটের যাবতীয় প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া ।১৫ দিন পরে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’য
বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, ‘ভোট পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে একমত হলে ও ভোটের প্রস্তুতি পুরোদমে চালিয়ে যাওয়া হয় সে ব্যাপারে আমরা কমিশনের কাছে অনুরোধ জানিয়েছি।’ বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং সব্যসাচী দত্ত বলেন ‘রাজ্যের অনেক পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সেগুলিতে আশু নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু মানুষের জীবনের থেকে তাদের কাছে কিছুরই মূল্য বেশি নয়। সে কারণে পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি। তবে বিজেপি পুরসভা ভোটের জন্য সব রকম ভাবে প্রস্তুত ।’
প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে, রাজ্যসভার সংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ভোট পিছিয়ে দিলেও পুনরায় পুরসভার দিনক্ষণ ঘোষণার আগে সর্বদল বৈঠক করে সব রাজনৈতিক দলের মতামত নেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে দাবি জানান।বাম পরিষদের নেতা সুজন চক্রবর্তী ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত সমর্থন করলেও অভিযোগ করেন রাজ্য সরকার ভোট থেকে পালিয়ে যেতে চাইছে।তিনি বলেন, ‘ যখনই পুরভোট হোক তা যেন ইভিএম ব্যবহার করে হয় এবং রাজ্যের সর্বত্র একই দিনে হয় সে ব্যাপারেও তারা কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন।’