লখনউ: ভারতীয় রাজনীতির বর্ণময় ব্যক্তিত্ব মুলায়ম সিং যাদবের ব্যক্তিগত জীবন ছিল বেশ রঙিন৷ তাঁর প্রেম-বিয়ে নিয়ে কম চর্চা হয়নি৷ প্রথম স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থাতেই জীবনে আসে নতুন প্রেম৷ দ্বিতীয় স্ত্রীর জীবনাবসানের চার মাসের ব্যবধানে প্রয়াত হলেন সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব।
আরও পড়ুন- চলছে বিয়ে, পিঁড়িতে বসে ঢুলছেন কনে! ভিডিয়ো দেখে হেসে লুটোপুটি নেটিজেনরা
উত্তর প্রদেশের ‘নেতাজি’র সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সাধনা গুপ্তের প্রেমের কাহিনী একসময় দেশের রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছিল৷ তবে শোনা যায় প্রথমে তাঁকে স্ত্রী হিসাবে সাধনাকে স্বীকৃতি দিতে চাননি মুলায়ম। মেনে নেননি সাধনার প্রথম পক্ষের সন্তান প্রতীককেও৷ এই সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন৷ কিন্তু তবুও শোরগোল পড়েছিল৷ যার আঁচ পৌঁছেছিল দিল্লির দরবারেও৷
মুলায়মের প্রথম স্ত্রী মালতী দেবী হলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মুলায়ম-পুত্র অখিলেশ যাদবের মা৷ ১৯৭৩ সালে অখিলেশের জন্মের পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি৷ শোনা যায়, এক নার্স মালতী দেবীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিচ্ছিলেন৷ সেটা দেখার সঙ্গে সঙ্গে নার্সকে থামান সাধনা। তার তৎপরতায় সে যাত্রায় বেচে গিয়ছিলেন মালতী দেবী৷ নিজের বইয়ে সে জানিয়েছেন অখিলেশ।
সাধনা যে ভাবে মালতী দেবীর প্রাণরক্ষা করেছিলেন, তাতে মুগ্ধ হন মুলায়ম। আর এই ঘটনার পর থেকেই তাঁদের মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে৷ সেই সময় তাঁর প্রথম স্ত্রী জীবিত৷ এদিকে, সাধনার প্রথম স্বামী চন্দ্রপ্রকাশ গুপ্তের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়ে যায় ১৯৯০ সালে৷ ১৯৯৪ সালে প্রতীকের স্কুলের আবেদনপত্রে বাবার জায়গায় উল্ল্খ করা হয় মুলায়মের নাম৷ পরে শোনা যায় প্রতীককে দত্তক নিয়েছিলেন তিনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>
২০০৩ সালে মারা যায় মুলায়মের প্রথম স্ত্রী মালতী দেবী৷ এর পর সাধনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আরও মজবুত হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে তাঁদের বিয়ে নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়৷ ওই বছর আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তির মামলায় সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া হলফনামায় সাধনাকে স্ত্রী হিসাবে উল্লেখ করেন ‘নেতাজি’। সাধনা-পুত্র প্রতীক যাদবকেও সন্তানের স্বীকৃতি দেন৷ প্রসঙ্গত, বয়সে মুলায়মের থেকে ২০ বছরের ছোট ছিলেন সাধনা।