পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি মুকুল রায়ের

পার্শ্বশিক্ষকদের নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি মুকুল রায়ের

কলকাতা: যেকোন নির্বাচনের আগেই ছোট-বড় আন্দোলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। সেক্ষেত্রে বহু বছর ধরে চলা পার্শ্বশিক্ষক বা প্যারা টিচারদের আন্দোলন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য বিজেপি বিধানসভা নির্বাচনের আগে পার্শ্ব শিক্ষকদের এই রাগকে কাজে লাগাতে চায়। দীর্ঘদিন তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন। সল্ট লেকের বিকাশ ভবনের সামনে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন ঝড় জল গ্রীষ্মে। ৬৩ হাজার পার্শ্ব শিক্ষকের বেশিরভাগ অংশ সরকার বিক্ষুব্ধ।

বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন সম্প্রতি। তিনি সেই চিঠিতে বলেছেন, নির্বাচনের আগে দলের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। সূত্রের খবর, চিঠিতে মুকুল বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ একটি নির্বাচনমুখী রাজ্য এবং নাগরিকরা শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য সোচ্চার, তাই রাজ্য বিজেপির উচিত এই বিষয়টিকে গুরুতরভাবে দেখা এবং প্যারা-শিক্ষকদের কল্যাণে কার্যকরী ভূমিকা নেওয়া।

পার্শ্ব শিক্ষকদের পরিবারের সদস্য মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষ্য। বুধবার, কয়েকজন প্যারা টিচার, প্ল্যা-কার্ড বহন করে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের নিকটবর্তী আদি গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাদের দাবি জানাতে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সুরক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে কিনা তা দেখছে পুলিশ। 

জানুয়ারিতে, দুই দিনের বিশেষ বিধানসভা অধিবেশনের আগে কয়েকজন প্রতিবাদী পার্শ্বশিক্ষক, তাদের সকলেই মহিলা, কলকাতার  বিধানসভায় প্রবেশের চেষ্টা করে। এর আগে বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। মুকুল রায় তার চিঠিতে শাহকেও আহ্বান জানিয়েছে যে ২০২১ সালে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে দলটি প্যারা শিক্ষকদের জন্য একটি বর্ধিত বেতন-স্কেল এবং বেতন দেওয়ার কথা বলুক। সূত্রের খবর, মুকুল রায় পার্শ্ব শিক্ষকদের আন্দোলনে অমিত শাহ’র বার্তা নিয়ে যাবেন। বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তবে তাদের আর্থিক শ্রী বৃদ্ধি হবে সেই কথাই তিনি জানতে চান। 

বিধানসভা ভোটের আগে বড় প্রশ্ন, বিজেপি কি তাদের ৪০.৬৪ শতাংশ ভোট ধরে রাখতে পারবে? তৃণমূল কী তাদের ৪৩ শতাংশ ভোট ধরে রাখতে পারবে? বাম কংগ্রেস জোট কি (৬.৩৪ + ৫.৬৭ ) শতাংশ ভোটে আটকে থাকবে। তার থেকে বৃদ্ধি পাবে। নাকি ক্ষয় হবে। বাম কংগ্রেসের এই মিলিত ১২ শতাংশ কোন দিকে যাবে?  তবে ৬৩ হাজার পার্শ্বশিক্ষক এবং তাদের পরিবার মিলিয়ে প্রায় ৮ লক্ষাধিক মানুষকে কিন্তু বিজেপি বলতে চাইছে, তারাই ভরসা দিতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *