কলকাতা: শোভন-বৈশাখীকে ছাড়াই বিজেপির রোড শোর শুরুতেই অশান্তি৷ হুডখোলা গাড়িতে কৈলাস বিজয়বর্গী, মুকুল রায়, অর্জুন সিংয়ের মতো একাধিক নেতাকে নিয়ে আলিপুর থেকে শুরু হয় মিছিল। পেছনে অবশ্য বাইক ব়্যালিও ছিল। মিছিলেন পুরোভাগে ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়-দিলীপ ঘোষ৷ অভিযোগ সেই মিছিল ঘিরে শুরু হয় অশান্তি৷
বিপত্তি বাধে ওয়াটগঞ্জ আর খিদিরপুর মোড়ে পৌঁছে। আগে থেকেই অস্থায়ী মঞ্চে সভা চলছিল তৃণমূলের। মিছিল কাছাকাছি আসতেই দুপক্ষের মধ্যে সমস্যা শুরু হয়৷ মুকুল রায়, অর্জুন সিং এবং কৈলাস বিজয়বর্গীর গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই বড় আকার নেয় অশান্তি৷ অভিযোগ, তৃণমূলের মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে জুতো। পালটা পতাকা ছুঁড়ে জবাব দিতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। কেউ কেউ মঞ্চের দিকে তেড়ে গেলে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ তবে, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে৷ দু’পক্ষকে আলাদা করে দেওয়া হয়৷ পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। তৃণমূলের তরফে এখনও কিছু জানানো না হলেও বিজেপি সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করা হয়, তাদের রোড শো নষ্ট করতে তৃণমূল পরিকল্পনা করে জুতো এবং ঢিল ছোঁড়ে। কিন্তু বিজেপির সহিষ্ণুতায় ঝামেলা বাড়েনি। ঘটনা স্থলে প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা করা হয়। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে৷
ভোটের আগে এই রাজনীতির সংঘাত প্রতিদিন লেগেই আছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুকুল রায় বলেন, “এই রাজ্য কোথাও আইনের শাসন নেই তা এই ঘটনায় আবার প্রমাণ হল৷” অবশ্য স্থানীয় যুব নেতাদের অভিযোগ, তাদের দলীয় ব্যানারে আগে জুতো ছুঁড়ে মারায়, তারা মিছিলে জুতো ছুঁড়ে মারে। এই নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি৷