কলকাতা: মা আসছে। এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুজোর প্ল্যানিং৷ বিস্তর খাওয়া-দাওয়ার, শপিং পাশাপাশি চুটিয়ে থিয়েটারে গিয়ে সিনেমা দেখা৷ পুজো আসা মানেই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমার লড়াই৷ ফি বছর দুর্গা পুজোয় চার-পাঁচটা ছবিকে প্রেক্ষাগৃহে লড়িয়ে দেওয়াটা দস্তুর৷ কিন্তু, এতে তো কোনও বাংলা ছবির পক্ষেই ১০ কোটি বা ১৫ কোটির ব্যবসা করা সম্ভব নয়৷ হ্যাঁ, যেখানে দক্ষিণী ছবি ১০০ কোটির ব্যবসা করে, বলিউডি ছবি ২০০-৩০০ কোটি ব্যবসার জন্য দৌড়য়, সেখানে বাংলা ছবি ১০-১৫ কোটির ব্যবসা করা মানেই অনেক বড়৷ একটা ছবিও যদি ১৫ কোটির ব্যবসা করতে না পারে, তাহলে যে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ‘বামন’ হয়ে পড়বে৷ ব্যবসা করার ভালো সময় অবশ্যই পুজোর মরশুম৷ কিন্তু এক সঙ্গে অনেকগুলি ছবি ময়দানে নামলে বক্ত অফিসে একচেটিয়া ব্যবসা করাটা খানিকটা মুশকিল হয়ে যায় বৈকি৷ চলতি বছর পুজোয় একসঙ্গে মুক্তি পাবে চার চারটি বাংলা ছবি৷ তাদের আবার কড়া টক্কর দিতে ময়দানে নামতে তিনটি হিন্দি ছবি৷ ফলে সব ছবিরই ব্যবসার অঙ্ক মার খাবে৷
প্রযোজন-পরিচালক ছাড়া ইন্ডাস্ট্রির বাকি কুশীলবদের মতে,এটা একেবারেই কাম্য নয়৷ বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকেই৷ ‘স্টার’ সিনেমাহলের তরফে জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, দুর্গাপুজোয় একসঙ্গে চারটে সিনেমা মুক্তি পেলে ক্ষতি হবে হল মালিকদের৷ কারণ পুজো কাটলে আর কোনও বড় ছবি মুক্তি পাবে না৷ প্রযোজকদের মধ্যে রেষারেষিতে মার খাবে বাংলা ছবির ব্যবসা৷ তাঁর কথায়, টলিউডে অনেক পার্টি হয়৷ কিন্তু বিজনেস মিট করার পর এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, কেউ কারও সঙ্গে ছবি আনবেন না৷’
বলিউডে সাধারণ একসঙ্গে দুটি বিগ বাজেট ছবি রিলিজের চল নেই৷ তবে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একসঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে আসবে সানি দেওলের ‘গদর টু’ এবং অক্ষয় কুমারের ছবি৷ অন্যদিকে, এবার পুজোয় চারটি বাংলা ছবির সঙ্গে টক্কর দিতে আসছে কঙ্গনা রানাউতের ‘তেজস’৷ লড়াইয়ে নামবে বিকাশ বহেল পরিচালিত অমিতাভ বচ্চন, টইগার শ্রফ, কৃতি শ্যানন অভিনীত ‘গণপত রার্ট ওয়ান’৷ আসছে ‘ইয়ারিয়া টু’ও৷ এই তিনটি ছবি তেমন চর্চায় না থাকলেও, কিছু ষো তিনজনের দখলেই থাকবে৷
বাংলায় চারটি ছবির মধ্যে রয়েছ সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দশম অবতার’৷ নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রক্তবীজ’৷ এবং অরুণ রায় পরিচালিত ও দেব অভিনীত ‘বাঘা যতীন’৷ আবার দীর্ঘ দিন পর কামব্যাক করছেন কোয়েল মল্লিকও৷ মুক্তি পাবে অরিন্দম শীলের পরিচালনায় ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’৷