দিদিমার গর্ভে লালিত নাতনি! সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় গোটা পরিবার

দিদিমার গর্ভে লালিত নাতনি! সন্তানের মুখ দেখার অপেক্ষায় গোটা পরিবার

টেক্সাস: একটা সন্তানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ কিন্তু তিনি যে বিরল রোগে আক্রান্ত৷ সন্তান ধারণ তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ চিকিৎসকরা সে কথা তাঁকে জানিয়েও দেন৷ কিন্তু, মেয়ের চোখের জলে আকুল হয়ে উঠেছিলেন তাঁর মা৷ মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে মেয়ের সন্তান নিজের গর্ভ ধারণ করলেন মা৷ আগামী মাসেই কোল আলো করে আসবে ফুটফুটে সন্তান৷ দিদিমার গর্ভে বেড়ে উঠছে নাতনি৷ 

আরও পড়ুন- রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হাতে ‘কামিকাজে ড্রোন’আমেরিকার, এর বিশেষত্ব কী?

এই ঘটনাটি আমেরিকার৷ মেয়ে কেটলিনের সন্তান নিজের গর্ভে ধারণ করেছেন আট সন্তানের জননী বছর পঞ্চাশের চ্যালিস স্মিথ৷ কেটলিনের একটি সন্তান রয়েছে৷ এটি তাঁর দ্বিতীয় সন্তান৷ প্রথম সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরেই জটিল রোগ ধরা পড়ে তাঁর৷ তখনই চিকিৎসকরা জানান, আর কোনও দিন মা হতে পারবেন না কেটলিন৷ কিন্তু, কেটলিন চেয়েছিলেন অনেক সন্তানের মা হতে৷ প্রথম সন্তান গর্ভে আসার পরেই আরও সন্তানের জন্ম দেওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন তিনি৷ কিন্তু ২০১৯ সালে ধরা পড়ে কঠিন রোগ৷ নিজের অপূর্ণ ইচ্ছার কথা মাকে জানান তিনি৷ এর পর থেকেই চ্যালিস ভাবতে থাকেন কী ভাবে মেয়ের মুখে হাসি ফোটানো যায়৷ অনের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে মনের সঙ্গে লড়াই করে একটা সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ 

প্রথমবার কেটলিনকে যখন তাঁর সন্তান ধারণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তখন খানিকটা বিস্মিতই হয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু পরে সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান৷ এর পর চিকিৎসকরা  চ্যালিসের শারীরিক পরীক্ষা করে দেখেন। দেখা যায় সন্তানধারণের জন্য সবক’টি পরীক্ষাতেই তিনি উত্তীর্ণ৷ চ্যালিসের কথায়, “চিকিৎসকরা সারোগেসির জন্য সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেই গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমার দেহে ভ্রূণ প্রতিস্থাপন করা হয়।’’ চ্যালিসের গর্ভে এখন সাত মাসের সন্তান৷ আপাতত তাঁর গর্ভে বেড়ে ওঠা নাতনিকে দেখার অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন তিনি৷