নয়াদিল্লি: জামাই আসছে বাড়িতে৷ তাঁর আপ্যায়নও হবে এলাহি৷ জামাই আদর বলে কথা৷ কিন্তু তা বলে এক কিছু! খাবার টেবিলে বসে চক্ষু চড়কগাছ জামাই বাবাজীবনের৷ পাঁচ-সাত রকম নয়, হবু জামাইয়ের জন্য একেবারে ৩৬৫টি পদ রেঁধে ফেললেন শাশুড়ি মা৷ সারি দিয়ে সাজানো খাবার দেখে একেবারে হতবাক জামাই৷ তমকে দেওয়ার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়৷ জামাই আদরের সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷
আরও পড়ুন- কিছুদিনের অপেক্ষা, সাধারণ রোগে পরিণত হবে করোনা! জানালেন ICMR-এর বিজ্ঞানী
মকর সংক্রান্তির দিন জামাইকে ভোজ খাওয়ানো তেলেগু সংস্কৃতির একটা অঙ্গ৷ সেই নিয়ম মেনেই হবু জামাই সাইকৃষ্ণকে দুপুরের ভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন৷ ভেঙ্কটেশ্বরা রাও ও মাধবী রাওয়ের ইচ্ছা ছিল জামাইকে ‘ভুরিভোজ’ করানোর৷ সেই মতো সমস্ত আয়োজন সেরে ফেলেন তাঁরা৷ হবু জামাই শ্বশুরবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে সময় মতোই চলে আসেন৷ পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খানিক কথা বলার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় খাবার টেবিলে৷ এর আগে পর্যন্ত সাইকৃষ্ণ বিন্দুমাত্রও বুঝতে পারেননি তাঁর জন্য কত ভোজ অপেক্ষা করছে৷ টেবিল দেখে তাঁর চোখ তখন ছানাবড়া৷ কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন৷ শুধু টেবিল বললে ভুল হবে, সারা ঘর ভর্তি খাবারে৷ গুনে দেখলে পদের সংখ্যা যে ৩৬৫৷
কিন্তু ৩৬৫ পদ কেন? হবু শাশুড়ি মাধবী রাওয়ের কথায়, জামাইয়ের বছরের প্রতিটি দিন যাতে ভাল কাটে সে জন্যই ৩৬৫টি পদের আয়োজন করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, খাবারের তালিকায় ছিল ৩০ রকমের তরকারি, ভাত, বিরিয়ানি, পুলিহরা, আধুনিক ও পুরাতন মিলিয়ে ১০০ রকমের মিষ্টি, ১৫ রকমের আইসক্রিম, বিভিন্ন রকম পেস্ট্রি, কেক, ৩৫ রকমের ঠান্ডা ও গরম পানীয়, বিস্কুট, ফল। মোট তিনটি টেবিল মিলিয়ে খাবারগুলি সাজানো হয়৷ ইউটিউবে ওই তরুণীর শেয়ার করা একটি ভিডিওতে মাধবী জানান, ‘‘মেয়ে এবং হবু জামাইয়ের জন্য এই আয়োজন করতে পেরে আমরা খুশি। মেয়ে জামাইয়ের পাশাপাশি সব আত্মীয়দেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আংমরা গোদাবরীর ঐতিহ্যকে জামাইয়ের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম৷’’
এই মহাভোজের পরেই গাঁটছড়া বাঁধেন সাইকৃষ্ণ ও কুণ্ডাভি৷ তাঁদের বিয়েতেই ছিল সেই এলাহি ব্যাপার৷ যা দেখে আরও একবার হতবাক হক সাইকৃষ্ণ৷ সেই সব পর্ব মিটিয়ে তাঁরা এখন সুখী দম্পতি৷