বেশি ট্রেন চালালেও ভিড় নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়, স্পষ্ট জানাল রেল

বিগত সাত মাস পরে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা।

 

কলকাতা: বিগত সাত মাস পরে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সাময়িকভাবে রাজ্যবাসীর স্বস্তি হলেও সংক্রমণের আশংকা থেকেই গেছে। গত বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার পরে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৫ শতাংশ ট্রেন চলছিল, পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার পর অফিস টাইমে প্রায় ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, বেশি ট্রেন চালানোর পরেও সাধারণ মানুষের ভিড়ে নিয়ন্ত্রণ করা রিটের পক্ষে সম্ভব নয়।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মত পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যতই ট্রেনের পরিষেবা বাড়ানো হোক, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা তাদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব হবে না। কারণ ট্রেনের পরিষেবা বাড়লে নিত্যযাত্রীর সংখ্যাও বাড়বে একই ভাবে। সে ক্ষেত্রে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার কোনো রকম উপায় কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, কম সংখ্যক ট্রেন চালানোর জন্য ভিড় বেশি হচ্ছে, কিন্তু ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর পরেও সাধারণ মানুষের ভিড়ের কোন ফারাক দেখা যাচ্ছে না। এই প্রেক্ষিতে ইমেইল কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এইভাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কিছুতেই সম্ভব নয়। গোটা দিনে না হলেও, অফিস টাইমে সাধারণ মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। সেই কারণে সেই টাইমে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ভিড় কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।

ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পূর্ব রেলের তর্ক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, অফিস টাইমে প্রায় ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে। কিন্তু আখেরে লাভের লাভ কিছু হয়নি। ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না যাত্রীদের মধ্যে। শুধুমাত্র মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যদিও ট্রেনের ভেতর মানুষ আদৌ মাস্ক পরছেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকেই বেশি সচেতন হওয়ার বাধা দেওয়া হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষের তরফে। উল্লেখ্য, নিত্যযাত্রীদের দাবি ছিল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর। সেই দাবির কথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার এবং রেল কর্তৃপক্ষের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব শাখায় অফিস টাইমে ১০০ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে। তবে এই ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার কারণে রাজ্যে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কোন দিকে এগোয় তা জানতে আরও কিছু সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =