কলকাতা: বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে যারা চর্চা করছেন তাদের কাছে গবেষণার বিষয় হতে পারে এই মহিলা। শালতরার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউড়ি। যিনি এক রাজমিস্ত্রির স্ত্রী। যাকে বিষয় করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন “দিদি, আপনি আমার মুখকে অপছন্দ করতে পারেন তবে আপনাকে চন্দনা জি’র মতো মুখগুলি এবং বহুদিন ধরে বিজেপিকে মনে রাখতে হবে …. উনি কেবল সালতরা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী নন, তিনি বাংলার আকাঙ্ক্ষার মুখও।”
চন্দনা বলেছিলেন যে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে দেয়নি শাসক দল তৃণমূল। তিনি এবং তাঁর স্বামী বিজেপির পক্ষে কাজ শুরু করেছিলেন। “তৃণমূল কীভাবে আমাদের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিল তা দেখার পরে আমি বিগত তিন বছর ধরে বিজেপির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আমার জন্য আসা সরকারি আবাসন প্রকল্পটি আমার মতো একই নামের অন্য মহিলাকে দেওয়া হয়েছিল।”
চন্দনা বলেন, আমি জানতাম না যে তালিকাটি ঘোষণা হওয়ার আগে পর্যন্ত দল আমাকে প্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছে। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর জানতে পারি। যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শংসাপত্র দিয়েছেন তখন প্রার্থী তালিকা নিয়ে আর সংশয় থাকা উচিত নয় বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপি। প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই চারি দিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষোভ এবং অশান্তি চোখে পড়তে শুরু করে। সেক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপির তরফে আলাদা ভাবে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মোদী রবিবার যখন নিজের ভাষণে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, বিজেপির প্রার্থী তালিকা যথেষ্ট চিন্তা ভাবনা করেই করা হয়েছে তখন সেখানেই বিতর্কের ইতি হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেছে বঙ্গ বিজেপি।
রবিবার নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, বঙ্গ নির্বাচনের জন্য বিজেপি অভিজ্ঞ ও নতুন মুখ উভয়কেই সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেছে। “বিজেপি অভিজ্ঞ প্রার্থী দিয়েছে। নতুনদেরও সুযোগ দিয়েছে। রবিবার বাঁকুড়ার মাঠে জনসভায় মোদী বলেন, তরুণ ও অভিজ্ঞ প্রার্থীরা মিলে সোনার বাংলা গড়তে সহায়তা করবে।” স্থানীয় বিজেপি নেতারা বহু দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর বা জ্বালিয়ে দিয়েছিলে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকে অভিযোগ করেছে, এই তৃণমূল ফেরত ও “বহিরাগত” প্রার্থীদের মনোনীত করা হয়েছে। তৃণমূলের অধীনে কীভাবে আসল পরিবর্তন ঘটবে, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও মোদী এই বিক্ষোভগুলির কথা উল্লেখ করেননি, তিনি বাঁকুড়ার সালতোরায় বিজেপির প্রার্থী, রাজমিস্ত্রি স্ত্রী চন্দনা বাউরির কথা বলেছিলেন যে স্পষ্টতই এই বার্তাটি পাঠানোর জন্য যে তাঁর দল শুধু তৃণমূল থেকে নাম বেছে নিয়েছে এমন নয়, খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে থেকেও খুঁজে নেওয়া হয়েছে প্রার্থী।