ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দু’দিনের সফরে গতকালই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ স্বাধীনতা দিবসের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষও পালন করছে বাংলাদেশ৷ করোনাকালে লকডাউনের পর এটাই নমোর প্রথম বিদেশ সফর৷ আজ সফরের দ্বিতীয় দিনে সাতক্ষীরা জেলার যশোশ্বরী কালি মন্দিরে পুজো দিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ এর পর মতুয়াদের মন ছুঁতে ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের মন্দির দর্শনেও যাবেন তিনি৷
আরও পড়ুন- আর নয় বিদেশিনী বিয়ে! নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম সরকারের!
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে মোদীর মতুয়া মন্দির দর্শন রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ শনিবার সকালে যশোশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে নমো বলেন, ‘‘৫১ শক্তিপীঠের অন্যতম সাতক্ষীরার এই যশোরেশ্বরী কালি মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি৷ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে মা ঢাকেশ্বরীর চরণে মাথা নত করার সুযোগ পেয়েছিলাম৷ করোনার জন্য এক গভীর সংকটের মধ্যে পড়েছে মানব সমাজ৷ কোভিডের হাত থেকে মানব জাতিকে মুক্ত করার জন্য মা কালির কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি৷’’
বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি আরও বলেন, এখানে কালি মেলার সময় লাখো ভক্তের সমাগম ঘটে৷ সীমান্ত পেরিয়ে ভারত থেকেও বহু পূণ্যার্থী মায়ের দর্শনে আসেন৷ এখানে একটি কমিউনিটি হলের প্রয়োজন রয়েছে৷ যা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ কালি পুজোর সময় যখন এখানে লাখো ভক্ত সমাগম ঘটে, সেই সময় যেমন এই কমিউনিটি হল ব্যবহার করা যাবে৷ তেমনই সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক ইভেন্টগুলির জন্যও এটি কার্যকরী হবে৷ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের সময়ে মানুষের আশ্রয়স্থল হিসাবে এটি উপস্থিত থাকবে৷ সেই উদ্দেশেই ভারত সরকার এখানে নির্মাণ কাজ করবে। আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই যে তারা এই কাজের জন্য আমাদের মঙ্গল কামনা করেছেন৷’’
আরও পড়ুন- মুক্তিযুদ্ধের সত্যাগ্রহের শামিল হয়ে জেলে গেছিলেন মোদী! জানালেন নিজেই
এদিন কালি মূর্তিতে হাতে তৈরি মুকুটও নিবেদন করেন নরেন্দ্র মোদী৷ এই মুকুটটি রুপোর তৈরি৷ তার উপর রয়েছে সোনার জল৷ চিরাচরিত কারিগর দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে৷
পাশাপাশি টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধু মাওসোলিয়াম কমপ্লেক্সে ভইজিটর্স বইটিতে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে নিজের হাতে চারা গাছও রোপন করেন তিনি৷ সেই সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷