সমবায় ব্যাঙ্কেও ‘কর্পোরেটকরণ’! ফের বিল পেশ কেন্দ্রীয় সরকারের

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক গুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় আনার জন্য ফের লোকসভায় বিল পেশ করল কেন্দ্র। জুন মাসে এই সঙ্ক্রান্ত বিষয়ে জারি করা অর্ডিন্যান্সটির বদলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সোমবার এই বিল পেশ করেন লোকসভায়। বিরোধীরা এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের দাবী, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থি। এই বিল কার্যকর হলে রাজ্য গুলির ক্ষমতায় কোপ পড়বে।

 

নয়াদিল্লি: রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় আনার জন্য ফের লোকসভায় বিল পেশ করল কেন্দ্র। জুন মাসে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা অর্ডিন্যান্সটির বদলে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সোমবার এই বিল পেশ করেন লোকসভায়৷ বিরোধীরা এই বিলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই বিল যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিপন্থি। এই বিল কার্যকর হলে রাজ্যগুলির ক্ষমতায় কোপ পড়বে।

লোকসভায় এদিন অর্থমন্ত্রী যুক্তি দেন, এই বিল আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতেই আনা হয়েছে। 'ব্যাঙ্ক', 'ব্যাঙ্কার' ও 'ব্যাঙ্কিং' এই তিনটি শব্দ যেমস্ত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কেবলমাত্র সেই ব্যাঙ্কগুলিই এই বিলের আওতায় পড়ে। রাজ্য সমবায় আইনের অধীনে সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রারদের ক্ষমতা এর ফলে খর্ব হবে না। এমনকি কৃষি উন্নয়নে সহায়তা করা ব্যাঙ্কগুলিও এর আওতায় পড়ে না বলে জানান সীতারমন।

১৯৪৮ সাল থেকে চলে ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জুন মাসে একটি বিল পেশকরে কেন্দ্র লোকসভায়। কিন্তু সেই বিল পাশ না হওয়ায় অর্ডিন্যান্স জারি করা হয় মোদী সরকারের তরফে। এরপর সোমবার সেই অর্ডিন্যান্সের বদলে আগের ওই বিল প্রত্যাহার করে সেখানে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটিয়ে এই নয়া বিল পেশ করা হয়। উল্লেখ্য, মোদী আমলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা প্রচুর পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু কর্পোরেটদের থেকে টাকা আদায়ের কোনও দায়বদ্ধতা সরকার তরফে দেখা যায়নি।

লোকসভায় বিল পেশের সময় কেন্দ্র তরফে এই সমস্ত কারণ গুলিকেই বিল পেশের কারণ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য দাবি করছে, সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে থেকেই মোদী সরকার ঘনিষ্ঠ কর্পোরেট সংস্থা গুলি ক্রমাগত ব্যাঙ্ক লুঠ করে চলেছে। কিন্তু সরকার তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এদিকে সরকার সমবায় ব্যাঙ্ক গুলিকে কর্পোরেটকরণ করে ৪.৮৪ লক্ষ কোটি টাকার আমানতকে আন্তর্জাতিল লগ্নি নীতির লালসার মুখে ফেলে দিচ্ছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র  ব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে রাজ্যগুলির ক্ষমতা হ্রাস করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *