ওয়াশিংটন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ফার্মা সংস্থা ফাইজার জানিয়েছিল, তাদের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ৯০ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। এবার আরো এক মার্কিন সংস্থা মডার্না জানাচ্ছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ৯৪ শতাংশ কার্যকরী! এতে দ্রুত ভ্যাকসিন পাওয়ার আশা আরো একটু বেশি বাড়লো।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রেজাল্ট প্রকাশ করে মার্কিন সংস্থা জানাচ্ছে, কমপক্ষে ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে। এক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে কোন রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি তাদের। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন কমপক্ষে ৯৪ শতাংশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। উল্লেখ্য, ২৮ দিনের ব্যবধানে দুবার স্বেচ্ছাসেবকদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই রিপোর্ট সেই ৩০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে থেকে ৯৫ জনের রিপোর্ট অনুসারে জানানো হয়েছে। আরো জানা গিয়েছে, যে কয়েকজনকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা একটু বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু এই ভ্যাকসিনের ফলে কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়নি, হলেও খুব স্বল্প মানের।
এর আগে, ফাইজার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, তারা কমপক্ষে ১০,০০০ স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর তাদের ভ্যাকসিন পরীক্ষা করেছিল। তাতে ৯০ শতাংশ সুফল মিলছে। উল্লেখ্য, জার্মান ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োএটেকের সঙ্গে যৌথভাবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করার কাজ করছে ফাইজার। তাদের ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায় এই সাফল্য পাওয়ার পর, এখন আরো এক মার্কিন সংস্থার ভ্যাকসিন ট্রায়ালে সাফল্য পাওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে বিশ্ববাসী। যদিও একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের আগে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে আসবে না, আবার রিপোর্ট বলেছে, হয়তো কোনদিনই করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হবে না। তবে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর কাজ স্থগিত রাখেননি বিশ্বের তাবড় বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।