কলকাতার ভোটার হলেন মহাগুরু, তবে কি নীল বাড়ি দখলে বিজেপি’র মুখ মিঠুন?

কলকাতার ভোটার হলেন মহাগুরু, তবে কি নীল বাড়ি দখলে বিজেপি’র মুখ মিঠুন?

কলকাতা:  এক সময় তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহকর্মী৷ তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ করেও দিল্লি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী৷ পরে সারদা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী৷ প্রায় ছয় বছর রাজনৈতিক নির্বাসনের পর ফের বঙ্গ রাজনীতিতে পা দিয়েছেন তিনি৷ বলিউডের এই কিংবদন্তী তারকা এখন গেরুয়া শিবিরের সদস্য৷ তবে শুধু রাজনীতির নতুন ইনিংস শুরুই নয়, পাঁচ বছর পর কলকাতার ভোটার হিসাবেও বঙ্গে ফিরছেন এই সুপারস্টার৷ আর মিঠুন কলকাতার ভোটার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেও মাথাচাড়া দিয়েছে অন্য জল্পনা৷ 

আরও পড়ুন- মহিলাদের জন্য বিরাট আশ্বাস! গেরুয়া ইস্তেহারকে কীভাবে দেখবে প্রগতিশীল নারীসমাজ?

২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার সাংসদ থাকায় সময় কলকাতার ভোটার ছিলেন তিনি৷ আইনজীবী তথা মিঠুনের তুতো বোন শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তীর স্বামী বিমান সরকার বলেন, সম্প্রতি আরও একবার বাংলার ভোটার হয়েছেন এই তারকা৷ তিনি বলেন, ‘‘দাদা বাংলার ভোটার কার্ডও পেয়েছেন৷ উনি আমার স্ত্রীর তুতো দাদা৷ উনি এখানে এসেছেন এবং আমার দত্তবাগানের বাড়িতেই থাকছেন৷ আমার বাড়ির ঠিকানাই তাঁর ভোটার কার্ডে উল্লেখ করা হয়েছে৷’’  মিঠুনের তুতো বোন জানান, গত ৭ মার্চ তাঁর রাজা মনিন্দ্র রোডের বাড়ি থেকেই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে যান মিঠুন৷ ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশেই গেরুয়া হন তিনি৷

এর পর থেকেই জোড় গুঞ্জন, বিজেপি’র মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হতে পারে তাঁকে৷ যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মিঠুন বা তাঁর দল৷ তবে বাংলার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম ওঠার পর এই জল্পনা আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷ বিজেপি’র প্রার্থী তালিকায় একাধিক তারকাকে দেখা গিয়েছে৷ সেই তালিকায় মিঠুনের নাম অন্তর্ভুক্ত হলে ভোটের আগে তা হবে বড় ধামাকা৷ প্রসঙ্গত, এর আগে কোনও দিনও সরাসরি ভোট ময়দানে অবতীর্ণ হননি মিঠুন৷ 

আরও পড়ুন- ISF কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে, পুড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি

এবার কলকাতায় ভোটার তালিকায় মিঠুন চক্রবর্তীর নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকেই নীলবাড়ি দখলে নয়া সমীকরণ দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা৷ বিজেপি যোগ দেওয়ার পর তিনিও জানিয়েছিলেন, দল চাইলে প্রার্থী হতে তিনি প্রস্তুত৷ কিন্তু মিঠুন বাংলার ভোটার না হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল৷ এবার সেই সমস্যাও আর রইল না৷   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 13 =