বাহিনীকে লক্ষ্য করে ২০টি বোমা, পাল্টা বুথে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালালেন জওয়ানরা

বাহিনীকে লক্ষ্য করে ২০টি বোমা, পাল্টা বুথে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালালেন জওয়ানরা

নদিয়া: একুশের বিধানসভা ভোটে শীতলকুচির ঘটনা সকলের মনে টাটকা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির৷ সেই স্মৃতি উস্কে দিল নদিয়ার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত৷ ভোটের সকালে এই এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। যার জন্য এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়৷ ভোট দিতে যেতে পারছিলেন না এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বুথ কেন্দ্রে গুলি চালান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই গুলি চালাতে বাধ্য হয় আধা সেনা৷ তবে গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷ তবে নাকাশিপাড়ার ম্যাচপোতায় বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন এক সিপিএম সমর্থক। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। 

এ দিন, হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ ওঠে সকাল থেকেই। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০টির বেশি বোমা ছোড়ে৷ সেই সময় আত্মরক্ষার স্বার্থে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় বাহিনী৷  

এ দিকে, চাপড়াতে বেঘোরে প্রাণ হারান এক ভোটার। ভোট দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মৃতদেহটি আপাতত চাপড়া গ্রামীণ হাসাপাতালে রাখা হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, শাসকদলের কর্মীরা এ দিন বিরোধীদের বুথে ঢুকতে বাধা দেয়। কোথাও ছাপ্পা ভোট, কোথাও দেদার ছাপ্পা ভোট চলে৷ কোথাও আবার ভোট বন্ধ রেখেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। এই পরিস্থিতিতে চাপড়ার একটি বুথে ঝামেলা শুরু হয়। মূলত ভোটের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়ায়। সেই সময় একজন প্রতিবাদ করেন ওঠেন। তিনি সাধারণ ভোটার৷ সেই সময়ই বুথের সামনে গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *