কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ডামাডোল শেষে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মেনে নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো আপাতত ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী অনুমোদন দিয়েছিল দিল্লি, শীঘ্রই তা জেলায় জেলায় পাঠানো হবে। তবে ৩১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী শীঘ্রই পাঠানোর কথা বলা হলেও বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে চিঠিতে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি শাহি মন্ত্রক।
এই ৩১৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে কোথায় কত সেনা মোতায়েন করা হবে তা স্থির করে বাহিনীর কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছিল কমিশন। রাজ্য কমিশনের করফে বলা হয়েছিল, সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করতে হবে মুর্শিদাবাদে। এর পর বাঁকুড়ায় লাগবে ২৪ কোম্পানি ফোর্স। এই ভাবে ২২ টি জেলা ধরে ধরে কোথায় কত বাহিনী আপাতত মোতায়েন করা হবে, তা জানিয়ে দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কিন্তু, বিএসএফ-সিআরপিএফ কর্তারা বলছেন, এভাবে জেলা ধরে তালিকা দিলে হবে না। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে ভাগ রয়েছে৷ বাহিনীতে বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি-র মতো পৃথক ফোর্স রয়েছে৷ ফলে ফোর্স ধরে ধরে কমিশনকে ডিপ্লয়মেন্ট লিস্ট দিতে হবে। মুর্শিদাবাদে ২৬ কোম্পানির মধ্যে কত বিএসএফ কত, সিআরপিএফ, তা স্পষ্ট করতে হবে। এ প্রসঙ্গে কমিশনের বক্তব্য, এটা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। এই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। হাই কোর্ট কমিশনকে শুধুমাত্র ফোর্স মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। কোন ফোর্স থেকে কত কোম্পানি আসবে, তা নির্ধারনের নির্দেশ দেয়নি৷
দুই তরফের তরজায় বাহিনী নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল। অথচ এ ব্যাপারে ২৮ জুন কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট পেশ করার কথা ছিল। এহেন পরিস্থিতিতে শেষমেশ কমিশনের দাবি মেনে নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কোথায় কোন বাহিনীর কত ফোর্স পাঠানো হবে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকই ঠিক করছে। এবং দ্ুত সেই বাহিনী মোতায়েন শুরু করা হয়ে যাবে।
তবে বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী দেওয়ার কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। এ ব্যাপারে দু’দফায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার জবাব এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেয়নি।