জয়েন্ট পরীক্ষার আগেই ৫০ দিন ধরে নিখোঁজ মেধাবী পরীক্ষার্থী

পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ ৫০ দিন। সামনেই জয়েন্টের পরীক্ষা। কিন্তু হদিস নেই বছর ২১ এর সায়ন বিশ্বাসের। ২০ জুলাই রাতে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় এই পড়ুয়া। সায়নের মা বাবা এখন দিশাহীন। তাঁদের কথায়, সায়ন অত্যন্ত মেধাবী ছিল, ফলে পরীক্ষার ভয়ে যে সে পালিয়ে যাবে এমনটা হতেই পারে না। সায়নের খোঁজে দীর্ঘ দিন তল্লাশি চালিয়েও ব্যর্থ সোনারপুর থানা।

 

কলকাতা: পেরিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ ৫০ দিন। সামনে জয়েন্টের পরীক্ষা। কিন্তু হদিস নেই বছর ২১-এর সায়ন বিশ্বাসের। ২০ জুলাই রাতে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায় এই পড়ুয়া। সায়নের মা বাবা এখন দিশাহীন৷ তাঁদের কথায়, সায়ন অত্যন্ত মেধাবী ছিল, ফলে পরীক্ষার ভয়ে যে সে পালিয়ে যাবে, এমনটা হতে পারে না৷ সায়নের খোঁজে দীর্ঘ দিন তল্লাশি চালিয়েও ব্যর্থ সোনারপুর থানা৷

সোনারপুরে নিজের বাড়িতে ২০ জুলাই রাতে খাবার খেতে বসার ঠিক আগে থেকে বেপাত্তা সায়ন। মোবাইল না থাকায় পুলিশ সায়নের এখনও কোনও খবর জানতে পারেনি। পরিবারের সদস্যদের কথায়, গত দুই বছর ধরে মেডিক্যাল জয়েন্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল সায়ন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্র সারাদিন বই মুখে করেই বসে থাক। ছিল না তেমন কোনও বন্ধু বান্ধবও। এমনকি বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় সায়নের কাছে কোনও টাকা কিংবা এটিএম কার্ডও ছিলনা। তাহলে এই লকডাউনের মধ্যে কোথায় যেতে পারে সায়ন, এই কথাই ভাবাচ্ছে পুলিশদের।

সায়নের বাবার মুদির দোকান। তিনি বলেন, ছেলে সব সময়েই যেহেতু বই মুখে নিয়ে বসে থাকত, তাই তিনি সেদিন সকাল বেলা সায়নকে বলেছিলেন মাঝে মাঝে দোকানে বসতে কিংবা সাইকেল নিয়ে একটু ঘুরে আসতে। সায়নের বাবার কথায়, তাঁর কথা শুনে সায়ন সকাল থেকেই চুপ করেছিল, তারপর রাতে খেতে বসার আগে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যায়। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর পরই সায়নের বাবা সোনারপুর থানায় খবর দিয়েছিলেন। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও ঘটনার ৫০ দিন অতিক্রান্ত হলেও পুলিশ সায়নকে খুঁজে পায়নি। বর্তমানে দিশাহীন মা বাবা 'ছেলে জয়েন্টের আগেই ফিরে আসবে' এই কথা ভেবেই নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − fifteen =