BJP-র জোট ছেড়ে মুকুলদের সঙ্গে বৈঠক দুই বিধায়কের, মেঘালয়ে জোট সরকার গড়তে মরিয়া তৃণমূল

BJP-র জোট ছেড়ে মুকুলদের সঙ্গে বৈঠক দুই বিধায়কের, মেঘালয়ে জোট সরকার গড়তে মরিয়া তৃণমূল

 শিলং:  কে সরকার গঠন করবে ক্রিশঙ্কু মেঘালয়ে? এই নিয়ে চড়ছে জল্পনার পারদ৷  কারণ সরকার গঠন নিয়ে নতুন করে সঙ্কটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে সরকার গঠনের সবচেয়ে বড় দাবিদার এনপিপি৷ 

আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ত্রিপুরা-মেঘালয়ে, হয়েছে মৃত্যুও! কাঠগড়ায় বিজেপি

শুক্রবারই সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি প্রধান কনরাড। তিনি জানান, তাঁর নিজের দলের ২৬ জন বিধায়ক ছাড়াও ২ জন বিজেপি বিধায়ক, ২ জন নির্দল বিধায়ক এবং মেঘালয়ের আঞ্চলিক দল এইচএসপিডিপি-র ২ বিধায়কের লিখিত সমর্থন রয়েছে৷ প্রথা মেনে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি সরকার গঠনের আর্জিও জানান তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকেই বদলে যায় রাজনীতির সমীকরণ৷ ৫টি করে আসন পাওয়া কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপি ও এনপিপি জোটকে রুখতে পাল্টা জোট গঠনে মরিয়া হয়ে ওঠে। সেই জোটকে সমর্থন জানায় মেঘালয়ের আরও এক ‘শক্তিশালী’ দল ইউডিপি-সহ আরও ৩টি আঞ্চলিক দল।

কনরাড রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ৩২ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। যেখানে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ৩১টি আসন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যার পর আচমকা জোট থেকে সমর্থন তুলে নেয় এইচএসপিডিপি-র ২ জন বিধায়ক। এইচএসপিডিপি-র তরফে জানানো হয়, দল এনপিপি-কে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অনুমোদন করে না। এই বিষয়ে কনরাডকে চিঠিও রাঠানো হয়৷ এরই একটা প্রতিলিপি পাঠানো হয় রাজ্যপালকে৷ 

এ দিকে বিজেপি-এনপিপি জোটকে রুখতে শুক্রবারই জরুরি বৈঠকে বসে কংগ্রেস, তৃণমূল, এইচএসপিডিপি, ইউডিপি, পিডিএফ এবং ভিপিপি। তাদের মিলিত আসনসংখ্যা ২৯। কিন্তু, সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন আরও ২টি আসন৷ এই কমতি মেটাতে তাঁদের ঘুঁটি হতে পারে ২ নির্দল বিধায়ক। এরই মাঝে জল্পনা বাড়িয়ে মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা জানান, বিজেপি জোট থেকে সমর্থন তুলে নেওয়া ২ বিধায়ক তাঁদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এখন যদি এই জোট হয়, তাহলে মেঘালয়েও ক্ষমতায় চলে আসবে তৃণমূল কংগ্রেস৷