পুলিশকে পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করছে তৃণমূল-বিজেপি! বিস্ফোরক সেলিম

আগামী দিনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি করেছেন বাম নেতা

কলকাতা: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফা পার করে এখন দ্বিতীয় দফার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে বাংলা। ভোটকে কেন্দ্র করে গত কয়েক মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আঙিনায় যে উন্মাদনার পারদ চড়ছিল, আজ তা একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। কারণ আর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বহু চর্চিত হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ভোটগ্রহণ। এমতাবস্থায় আগামীকালের মেগা দ্বৈরথের আগে রাজ্যে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানালেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।

এ রাজ্যে ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনী আর রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে নিজেদের পাহারাদার হিসেবে ব্যবহার করছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল, এদিন এমনটাই মন্তব্য করেছেন মহম্মদ সেলিম। বুধবার সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য সেলিম এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল অর্থাৎ বিজেপি আর তৃণমূলকে এক হাত নিয়েছেন। ভোটের মুখে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে দলবদলের খেলাকেও এদিন তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় পুলিশ বাহিনীকে বিজেপি তার সদ্যপ্রাপ্ত প্রাক্তন তৃণমূলীদের পাহারাদার হিসেবে শক্তি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করছে।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ উস্কানিতেই যে এ কাজ করা হচ্ছে তাও জানাতে ভোলেননি বর্ষীয়ান বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।

এখানেই শেষ নয়, রাজ্য পুলিশকেও তৃণমূলের হাতিয়ার বলে কটাক্ষ করেছেন বাম নেতা। তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকারও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের একটা বড় অংশকে নির্লজ্জের মতো শক্তি প্রদর্শনে ব্যবহার করেছে।” এ রাজ্যের মানুষ এই ধরণের ব্যবস্থার অবসান চাইছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যে আগামী দফার নির্বাচনগুলিতে নিয়মনীতির লঙ্ঘন, উস্কানিমূলক ব্যবহার এবং দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রতিহত করা হবে, এদিন পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সেই নিশ্চয়তা দাবি করেছেন মহম্মদ সেলিম।

উল্লেখ্য, প্রথম দফার নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই এসেছে অশান্তির খবর। বামেদের তরফ থেকেও পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে একাধিকবার। এদিন সাংবাদিকদের সামনে আরো একবার সে কথাই জানালেন বাম নেতা মহম্মদ সেলিম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *