মাহির ছক্কা হাঁকানো বল এখন কোথায়? চিরুনি তল্লাশি দিচ্ছে এমসিএ

২০১১ এর বিশ্বকাপে মাহির শেষ ৬'য়ে উড়ে যাওয়া বলটিকে নিজেদের সংগ্রহশালায় রাখতে চাইছে এমসিএ। একইসঙ্গে ওই বলটি যে আসনের কাছে পড়েছিল, সেই আসনটিকে ধোনির নামে নামাঙ্কিত করতে চায় এমসিএ। চলতি বছর আগস্ট মাসে অতিমারীর মধ্যেই মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এরপরেই এমসিএ’র অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অজিঙ্কা নায়েক কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছে চিঠি লিখে এই প্রস্তাব দিয়েছেন।

 

মুম্বই: ৯ বছর আগের সেই বিশ্বকাপ ফাইনালে মাহির ওভার বাউন্ডারি আজও বিস্মৃত হয়ে যায়নি। চোখ বুজলেই ওয়াংখেড়ের মাঠে নিস্তব্ধ সেই মুহুর্ত মনে পড়ে। মাহি অবসর নিয়েছেন, দীর্ঘ ২৮ বছর পর যিনি ভারতের জন্য বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু যে বলটা গ্যালারিতে উড়িয়ে ভারতের জন্য জয় এনেছিলেন মাহি, সেই বলটা বর্তমানে কোথায়? সেই সময় ওই বল যে দর্শক পেয়েছিলেন, তিনি থাকেন কোথায়? সেই বল কি এখনও আছে তাঁর কাছে? এইরকমই নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তৎপর মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ২০১১ এর বিশ্বকাপে হারিয়ে যাওয়া সেই ঐতিহাসিক বলকে হঠাৎ করেই অনুসন্ধান করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এমসিএ। এই কাজে সংস্থার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিখ্যাত ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকার।

২০১১ এর বিশ্বকাপে মাহির শেষ ৬’য়ে উড়ে যাওয়া বলটিকে নিজেদের সংগ্রহশালায় রাখতে চাইছে এমসিএ। একইসঙ্গে ওই বলটি যে আসনের কাছে পড়েছিল, সেই আসনটিকে ধোনির নামে নামাঙ্কিত করতে চায় এমসিএ। চলতি বছর আগস্ট মাসে অতিমারীর মধ্যেই মহেন্দ্র সিং ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। এরপরেই এমসিএ’র অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য অজিঙ্কা নায়েক কার্যনির্বাহী পরিষদের কাছে চিঠি লিখে এই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারপর থেকেই শুরু হয় বলটির অনুসন্ধান।

ওস্তাদের মার! ১১-এর বিশ্বকাপে ধোনির শেষ ৬

প্রথমে যে আসনে বলটি পড়েছিল, প্রথমে সেটি চিহ্নিত করা হয়। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের এমসিএ প্যাভিলিয়নের এল ব্লকের ২১০ নম্বর সিটে পড়েছিল বল। জানা যায়, ২০১১ এর বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন ওই আসনে যে দর্শক বসেছিলেন, তিনি গাভাসকরের এক বন্ধুর বিশেষ পরিচিত। অবশেষে সূত্র ধরে বলটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। ওই দর্শক বলটিকে পরম যত্নে শো-কেসে সাজিয়ে রেখেছিলেন টানা ৯ বছর। সেদিনের ম্যাচ টিকিটও ল্যামিনেট করে রেখেছিলেন তিনি। ঐতিহাসিক এই বল এমসিএ তাদের সংগ্রহশালায় নিয়ে আসার জন্য গাভাসকারের শরণাপন্ন হয়ে ওই দর্শকের কাছে পৌঁছাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *