কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ৷ পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম৷ উপস্থিত রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মূলত দুই মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷ গঙ্গাতেও জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তবে প্রয়োজনে সেনা নামানো হবে বলেও আশ্বাস মমতার৷
আরও পড়ুন- বাংলায় ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে ঘূর্ণিঝড় যশ?
যশ মোকাবিলায় রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ব্লক স্তর পর্যন্ত প্রস্তুতি রয়েছে৷ এক এক জন সিনিয়র আইএসকে এক একটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ জেলা শাসকদের সঙ্গে অনবরত যোগাযোগ রাখছেন মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব৷ জেলা শাসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামীকাল ল্যান্ডফল হওয়ার পরেই বোঝা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ৷ প্রতিটা মুহূর্ত মনিটরিং করা হচ্ছে৷ পূর্ণিমা থাকায় আজ এমনিতেই জলোচ্ছ্বাস রয়েছে৷ তার উপর ঘূর্ণিঝড়৷ ফলে কলকাতার নীচু এলাকাগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে৷ তবে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতিও রয়েছে৷
আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী এলাকার ৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উপরে সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। রাজ্যের ৭৪ হাজার আধিকারিক এবং কর্মচারীকে দুর্যোগ মোকাবিলায় সাহায্য করবে। এছাড়াও পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর, এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, উপকূলরক্ষী বাহিনী, আশা কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার সহ প্রায় ৩ লক্ষ কর্মী প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানান। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুত বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে যশ, ৯ জেলায় জারি বন্যা সতর্কতা
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলকে নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে৷ আম্পান থেকে আমরা অনেকটা শিক্ষা নিয়েছি। তাঁর কথায়, আমার খুব খারাপ লাগে নদী উপকূলবর্তী অঞ্চলে যাঁরা থাকেন তাঁদের কথা ভেবে। তবে মানুষকে বলবো চিন্তা করবেন না। আমরা পাশে আছি। যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে সেনা নামানো হবে। দূর্যোগ মোকাবিলায় সবাইকেই ব্যবহার করা হবে।