সোনার গ্লাভস হাতে নিয়ে কেন ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি? জবাব দিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

সোনার গ্লাভস হাতে নিয়ে কেন ‘অশ্লীল’ অঙ্গভঙ্গি? জবাব দিলেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

db37cdfb59a99615bd0779c491cd1624

দোহা: এক রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর আরব্য রজনীতে রাজপুত্রের বিশ্বজয়৷ কাতার বিশ্বকাপ জিতে প্রাপ্তির ঝুলি পূর্ণ করেছেন লিয়োনেল মেসি৷ ম্যাচ জেতার পরও তিনি কিন্তু ছিলেন সংযত৷ তবে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস৷ বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হয়েও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আর্জেন্টিনার এই তারকা ফুটবলার৷ 

আরও পড়ুন- বিখ্যাত মডেল-ডাকসাইটে সুন্দরীই তাঁর বাল্যপ্রেম, আর এক তারকার স্ত্রীর সঙ্গে বুটিকও চালান মেসির স্ত্রী

কী নিয়ে এই বিতর্ক? 

বিশ্বকাপে তিনি যে সোনার গ্লাভস জিতেছেন, তা আর কারও অজানা নয়। কিন্তু সেই পুরস্কার নিতে গিয়ে তিনি মঞ্চে যে ‘অশ্লীল’ কাণ্ডটি ঘটনালেন, তাতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়৷ যদিও আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের কাছে এই আচরণ একেবারেই অশ্লীল নয়৷ 
 

ঠিক কী করেছিলেন মার্তিনেস? 

এদিন পুরস্কার নেওয়ার পর পোডিয়ামে দাঁড়িয়েই  সোনার গ্লাভসটি হাতে নিয়ে নিজের যৌনাঙ্গের সামনে ধরেন মার্তিনেস। কেন এই ভঙ্গি করেছিলেন তার কারণ হিসাবে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস বলেন, ‘‘ফরাসি ফুটবলাররা আমাকে কটূ কথা বলছিল। সেই কারণেই ওদের জবাব দিতে এমনটা করেছিলাম। আর আমি ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবি না।” তবে  মার্তিনেসের এই আচরণের জন্য তাঁকে শাস্তির মুখে পড়তে হবে কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। 

রবিবার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দুই দলেরই স্কোর ছিল ২-২৷ পরে বাড়তি সময় দেওয়া হলে দুই দলই একটি করে গোল করেন৷ ফলে খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে৷ সেখানেই ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতে নেয় আর্জেন্টিনা। গোলপোস্টে দাঁড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মার্তিনেস৷ ম্যাচের অন্যতম নায়ক মার্তিনেস বলেন, ‘‘আমরা অনেক কষ্ট করেছি। ফাইনালে শুরুর দিকে ভেবেছিলাম আমরা ম্যাচের উপর কব্জা রেখেছি৷ পরে ফ্রান্স ম্যাচে ফেরে। তখনই জটিল হয়ে যায় খেলাটা। শেষ মুহূর্তে ওরা একটা সুযোগ পেয়েছিল। আমাদের ভাগ্য ভাল যে গোলটা আটকে দিতে পেরেছিলাম। পা দিয়ে আটকে দিয়েছিলাম বলটা৷’’ 

আপাত দৃষ্টিতে এই অঙ্গভঙ্গি তাঁর পুরস্কার প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস বলে মনে হলেও, তাঁর সেই ভঙ্গি নিয়ে বিতর্কের জল ক্রমশ ঘোলা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বিশ্বজয়ী গোলরক্ষকের আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি কাকে বা কাদের উদ্দেশ্যে এমনটা করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। 

তবে শুধু ফাইনালের পর পোডেয়ামেই নয়, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পরেও একবার তাঁর আচরণে বিতর্কের মেঘ তৈরি হয়েছিল৷ অভিযোগ, ম্যাচের পর নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফান হালের সামনে গিয়ে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন মার্তিনেস৷ তাঁকে নিয়ে যত বিতর্কই হোক না কেন, আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে তিনি যে অন্যতম কুশীলব, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই৷