মায়ানমারের শরণার্থীদের সাহায্য নয়! চাপের মুখে নির্দেশিকা ফিরিয়ে নিল মণিপুর সরকার

মানবিকতার খাতিরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে

মণিপুর: মায়ানমারে সেনা শাসন নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে চর্চা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তথা প্রধানমন্ত্রীকে মায়ানমারের সেনা বন্দী করে আগামী এক বছরের জন্য ঘোষণা করেছে জরুরি অবস্থা। এই এক বছর সেনা প্রধানের হাতেই থাকবে দেশের শাসনক্ষমতা। গণতন্ত্রের এই চরম বিপর্যয়ে ফুঁসে উঠেছে মায়ানমারবসী। 

শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখর মায়ানমারের জনগণের উপর যথারীতি ধেয়ে আসছে আক্রমণ। আর সেনা শাসনে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য মায়ানমার থেকে শয়ে শয়ে মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশগুলিতে। কিন্তু মায়ানমারের কোনো শরণার্থীকে সাহায্য করা হবে না, গতকাল ঠিক এমনই এক অসংবেদনশীল নির্দেশিকা জারি করেছিল মণিপুর রাজ্য সরকার। নানা মহলে তীব্র সমালোচনার পর চাপের মুখে অবশেষে সেই আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। 

আরও পড়ুন- ভোট ময়দানে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে’র I-PAC?

গতকাল মণিপুর প্রশাসনের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, মায়ানমার থেকে চলে আসা শরণার্থীদের যেন কোনোরকম খাবার বা অন্য সাহায্য না করা হয়। তবে কেউ যদি গুরুতর আহত হন, তাহলে তাঁদের চিকিৎসা করা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছিল। মণিপুর সরকারের এই নির্দেশিকা সামনে আসার পরেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। এরপরই ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। মণিপুরের বিশেষ স্বরাষ্ট্র সচিব এইচ গায়েন প্রকাশ জানান, তাঁদের নির্দেশিকার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তাই ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মানবিকতার বার্তাও দেন তিনি। 

বস্তুত, ভারতের পূর্ব সীমান্তের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল মায়ানমার। আর পূর্বে মণিপুরের সঙ্গেই লাগোয়া রয়েছে মায়ানমারের সীমানা। তাই সেনা অত্যাচারে দিশাহারা হয়ে বহু মায়ানমারবাসীকেই গত কয়েকদিনে ভারতে চলে আসতে দেখা গেছে। গত কয়েকদিনে মায়ানমারে সেনা অত্যাচার চরমে পৌঁছেছে। দেশ জোড়া প্রতিবাদী কন্ঠকে দমনের জন্য নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে সেনা। আর তাতে প্রাণ গেছে শতাধিক মানুষের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 12 =