OMR জালিয়াতিতে কোডিং! মানিকের কারবারে চকিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

OMR জালিয়াতিতে কোডিং! মানিকের কারবারে চকিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

manik

কলকাতা: মানিকের একের পর এক কর্মকাণ্ডের পর্দাফাঁস৷ যতই খুলছে মোড়ক, ততই যেন উঠে আসছে চমক৷ প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কীর্তি দেখে বিস্মিত তদন্তকারী অফিসাররাও। এবার মিলল ‘কোডিং’এর হদিশ৷ সূত্রর খবর, ডিজিট্যাল ওএমআর-এর নামে রাখা হয়েছে কোডিংয়ের নথি। যাতে ইচ্ছে মতো এডিট করে নম্বর বদলে ফেলা যায়। এবং এই গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে ব্যবহার করা হয়েছে ৫০ বছর আগের প্রোগ্রামিং৷ এমনটাই সন্দেহ করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। পরিকল্পনা করেই ওএমআর-এর স্ক্যান কপি রাখা হয়নি বলে দাবি কেন্দ্রীয় এজেন্সির৷ 

আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের বক্তব্য, “আগে ডিপিএসসি-র মাধ্যমেই নিয়োগ হত। মানিক ভট্টাচার্য পর্ষদ সভাপতি পদে বসার পর সমস্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার কাজ শুরু করেন৷ উদ্দেশ্য ছিল, কেন্দ্রীয় ভাবে কালেকশন করা৷ বোর্ড নিয়োগ করেছে, অথচ মানিক কিছু জানেন না। উনি ধোঁয়া তুলসি পাতা, তেমনটা নয়।”

এদিন আদালতে আইনজীবী বলেন,  যদি কোনও নথি ডিজিট্যালি সংগ্রহ করতে হয়, তাহলে হয় তার ছবি তুলে রাখা হয় অথবা স্ক্যান করা হয়৷ কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সংরক্ষণের নামে যে কপি রেখেছে, তা এডিট যোগ্য। অর্থাৎ যে কোনও সময়েই তা পরিবর্তন করা সম্ভব। অর্থাৎ পয়সা দিলেই ওএমআর শিট এডিট করে অযোগ্য প্রার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × two =