manik bhattacharya
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও এক কীর্তি ফাঁস৷ স্নাতকোত্তর পাশ করার আগেই নাকি পিএইচডি করে ফেলেছিলেন পলাশীপাড়ার বিধায়ক৷ এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। কর্মজীবনের শুরুতে বিজয়গড় স্কুলের শিক্ষক ছিলেন মানিক৷ ১৯৯৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত স্কুলে শিক্ষকতা করা মানিক ওই বছরেরই অগাস্ট মাসে হঠাৎ করে যোগেশচন্দ্র ল’ কলেজের প্রিন্সিপ্যাল হয়ে যান। যদিও সেই সময় যোগেশচন্দ্র কলেজ সরকারি ছিল না। পরে তা ইউজিসি-র আওতায় আসে। কিন্তু কী ভাবে একজন স্কুল শিক্ষক উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রিন্সিপ্যাল হয়ে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ সেই সময় মানিকের বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়। ২০১৮ সালে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শুরু হয় পুলিশ তদন্ত৷ কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি৷
যোগেশচন্দ্র কলেজের বর্তমান প্রিন্সিপ্যাল পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ, মানিক প্রভাবশালী ছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে মানিকের অধ্যক্ষ পদ নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা চলছে। ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে বোমা ফাটানোর পাশাপাশি যোগেশচন্দ্র কলেজের প্রিন্সিপ্যাল পঙ্কজ রায় বলেন, মানিকের সময় থেকেই কলেজে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকে। তাঁর কথায়, “ল কলেজ আন ল-ফুলওয়েতে চলে। মানিকের নিয়োগ ছিল সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনি আগে পিএইচডি, পরে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। অর্থাৎ উনি এমকম ফলোড বাই পিএইচডি। তারপর এলএলবি, এলএলএম করে প্রিন্সিপ্যাল হয়েছেন।”