অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েই কাজে ম্যানেজার, ব্যাংক বলছে নাটক

অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েই কাজে ম্যানেজার, ব্যাংক বলছে নাটক

বোকারো: কর্তৃপক্ষ ছুটি মঞ্জুর করেনি৷ তাই অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে নিয়েই ব্যাংকে হাজির অরবিন্দ কুমার৷ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এই ব্যাংক ম্যানেজারের অভিযোগ, তিনি অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ছুটির আবেদন গ্রাহ্য করেনি পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি) কর্তৃপক্ষ৷ তাই অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়েই কাজে যোগ দিতে হয়েছে তাঁকে৷ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অবশ্য পালটা দাবি, পিএনবির বোকারোর একটি শাখার ম্যানেজার অরবিন্দ কুমার নাটক করছেন৷ অরবিন্দর অভিযোগ উড়িয়ে তাদের বক্তব্য, ব্যাংকের বদনাম করার জন্যই তাঁর এই কীর্তি৷ অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) ঋণ অ্যাকাউন্ট নিয়ে অরবিন্দের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে, সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতেই অক্সিজেন মাস্ক মুখে লাগিয়ে ব্যাংকে হাজির হওয়ার কৌশল নিয়েছেন ম্যানেজারবাবু৷

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যায়, স্ত্রীর ওপর ভর করে ধুঁকতে ধুঁকতেই ব্যাংকের শাখায় ঢুকছেন অরবিন্দ৷ পিছনে অক্সিজেন সিলিন্ডার টেনে নিয়ে আসছে তাঁর ছেলে৷ পিনএবির সেক্টর ৪ শাখার এই সাম্প্রতিক ঘটনার ভিডিও তুলে অরবিন্দর পরিবারের সদস্যরাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বলে ব্যাংকের দাবি৷ ভিডিওয় ব্যাংকের এক সিনিয়র অফিসারের কেবিনে ঢুকে তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়েও পড়তে দেখা যায় অরবিন্দকে৷ তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘সংক্রমণ যেহেতু ফুসফুসে ছড়িয়ে গিয়েছে, তাই সম্পূর্ণ সুস্থ হতে আমার তিন মাস লাগবে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন৷ তা হলে আমাকে কেন হেনস্তা করা হচ্ছে?’ অরবিন্দের পরিবারের দাবি, ছুটি নামঞ্জুর হওয়ায় তিনি ইস্তফা দিলেও, তা গ্রহণ করা হয়নি৷ ব্যাংক মাইনে কাটার হুমকি দিচ্ছে বলেই এই অবস্থাতেও অফিসে ছুটে আসতে বাধ্য হয়েছেন অরবিন্দ৷

যদিও শেষ পর্যন্ত অরবিন্দকে অফিস করতে হয়নি৷ কথা-কাটাকাটির পরই তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ ব্যাংকের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে যে সমস্ত চার্জ রয়েছে, তা তুলে নেওয়ার জন্য এবং তাঁর এনপিএ লোন অ্যাকাউন্টের রিকভারি প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্যই চাপসৃষ্টির ছক কষেছেন অরবিন্দ৷ এক বিবৃতিতে পিএনবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনও অনুমোদন ছাড়াই গত দু‘বছর ধরে অরবিন্দ কাজে গরহাজির৷ আর সকলের স্বার্থেই কোনও কোভিড আক্রান্ত কর্মীর ছুটি নামঞ্জুর করা হয় না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *