কলকাতা: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এল সাফল্য৷ কিন্তু ততদিনে কেটে গিয়েছে ২৭টা বছর৷ ১৯৯৭ সালে ২৭ বছর বয়সে মামলা শুরু করেছিলেন উত্তর নায়েক৷ প্রায় তিন দশক ধরে একবার পুরসভা, একবার হাই কোর্টে চক্কর কেটেছেন তিনি৷ অবশেষে সেই মামলার মীমাংসা হল ২০২৪ সালে৷ ৫৪ বছর বয়সে চাকরি পেলেন উত্তম৷
তিলজলার চৌভাগা এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র নায়েক কলকাতা পুরসভার ট্যাক্স কালেক্টর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আচমকাই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই বছর ১৫ জুলাই কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ অক্ষম বলে ঘোষণা করে। তৎকালীন কলকাতা পুরসভার আইন অনুযায়ী, চাকরিরত কোনও ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে, তিনি আর চাকরি করার সুযোগ পেতেন না৷ সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসাবে তাঁর পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হত৷
সেই নিয়ম মেনেই চাকরির জন্য আবেদন জানান হরেন্দ্র নায়েকের বড় ছেলে উত্তম নায়েক৷ কিন্তু, তিনি চাকরিতে যোগদানের আগেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয় (১৯৯৯, ২০ জানুয়ারি)। তবে উত্তম নায়েক যে চাকরি পাওয়ার যোগ্য, কলকাতা পুরসভার ডেপুটি পার্সোনাল ম্যানেজারের নেতৃত্বাধীন কমিটি সেই বিষয়ে আগেই কলকাতা পুরসভাকে সুপারিশ করেছিল। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে উত্তম চাকরি পাননি এবং হরেন্দ্রর পরিবারকে কোনও পেনশন বা সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে শুধুমাত্র ৪৪ হাজার ৯৭ টাকা এককালীন হিসাবে তুলে দেওয়া হয়৷
কোনও ভাবেই চাকরি না মেলায় ২০১৪ সালে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তম নায়েক৷ আদালত পুরসভাকেই বিষয়টি দেখার জন্য বলে৷ কিন্তু পুরসভা উত্তমের আর্জি খারিজ করে দেয়৷ অবশেষে তাঁকে চাকরি দিল কলকাতা হাই কোর্ট৷