পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় দৌড়তে গিয়ে মাঠেই মৃত্যু, মনে করাল সঞ্জীব পুরোহিতকে

পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় দৌড়তে গিয়ে মাঠেই মৃত্যু, মনে করাল সঞ্জীব পুরোহিতকে

 মুম্বই: সঞ্জীব পুরোহিতের কথা মনে আছে? চাকরি পাওয়ার জন্য তিনি হেঁটেছিলেন। আর মুম্বইয়ের এই যুবক দৌড়েছিলেন। এই দৌড়ই হল কাল৷ ১৬০০ মিটার দৌড়ের পর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের৷ শুক্রবার পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় এমনই দুর্ঘটনা ঘটল মুম্বইয়ে।

আরও পড়ুন- লিভ-ইন সঙ্গী নয়, নিকিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল! স্বামীর কাছে ফিরতে নারাজ নতুন বউ

মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার বাসিন্দা গণেশ উগালের এই মর্মান্তিক পরিণতি মনে করিয়ে দিচ্ছে সঞ্জীব পুরোহিতকে। তিনিও চাকরি পাওয়ার আশায় হেঁটেছিলেন দীর্ঘ পথ। আর তার পরই ঢলে পড়েছিলেন মৃত্যুর কোলে। তাঁর এই পরিণতি নিয়েই পরবর্তী সময়ে গান বেঁধেছিলেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন— ‘সঞ্জীব পুরোহিত হাঁটলেন…’। চাকরি অর্জন করতে গিয়ে সঞ্জীবেরের করুন কাহিনি তিনি গানের মাধ্যমে তুলে ধরেছিলেন৷ 

১৯৯১ সালের ঘটনা৷ ওড়িশার বন বিভাগে চাকরির জন্য পরীক্ষায় বসেছিলেন সঞ্জীব পুরোহিত। লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর শারীরিক সামর্থ্যের পরীক্ষা দিতে ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিলেন সঞ্জীব। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রখর তাপের মধ্যে সম্বলপুর এলাকায় ২৫ কিমি পথ হাঁটতে হয় সঞ্জীব-সহ বাকি পরীক্ষার্থীদের। চড়া রোদের মধ্যে হাঁটার পরই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জীব। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এতগুলো বছর পর পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় দৌড়তে গিয়ে সঞ্জীবের মতোই করুণ পরিণতি হল গণেশের।

পুলিশের চাকরি পেতে পরীক্ষার্থীদের শারীরিক সামর্থ্যের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুক্রবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যানগরীর ক্যাম্পাসে সময় মতো চলে এসেছিলেন গণেশ৷ তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলায়৷ এদিন পরীক্ষার্থীদের ১৬০০ মিটার দৌড়তে বলা হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় দৌড় লাগান গণেশ৷ কিন্তু কে জানত, সেই দৌড়েই ইতি পড়বে তাঁর জীবনের৷ দৌড় শেষ করার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।  তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু, সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।