মেদিনীপুর: সোমবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল জনসভা নন্দীগ্রামের বুকে। তবে এই প্রথম মেদিনীপুরের মাটিতে তৃণমূলের কোনও সভায় উপস্থিত থাকবেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য।
শুভেন্দু অধিকারী আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে চুটিয়ে সরকার বিরুদ্ধ প্রচার করছেন। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদে থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু অধিকারীও। এবার দুই ছেলের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শিশির অধিকারীর বিজেপি যোগ শুধুই সময়ের অপেক্ষা, মনে করছে গেরুয়া শিবির।
সোমবার প্রায় ৫ বছর পর নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, ৩ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে সেখানে। কিন্তু সেই সভায় উপস্থিত থাকবেন না পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি শিশির অধিকারী। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, সভায় উপস্থিত থাকার জন্য কোনও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়নি তাকে। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের কথায়, “আমরা তো লস্ট কেস। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে আমার সঙ্গে দলের কেউ যোগাযোগও করেনি। তাই সভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।” পাশাপাশি, সোমবারের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন না তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও, খবর সূত্রের৷
দুই ছেলেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে রাজনীতি করছেন। এই কারণেই শাসক দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে শিশিরবাবুর। একে একে তাঁকে দিঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরেই তারও বিজেপি যোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়। এ নিয়ে সম্প্রতি শিশিরবাবু জানিয়েছেন, “কোনও সম্ভাবনাই একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সব দরজাই খোলা রাখছি। অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলে তবেই শেষ সিদ্ধান্ত নেব।” তবে কি সোমবারে দলনেত্রীর সভায় তার অনুপস্থিতিই দলবদলের ইঙ্গিত হতে পারে?