কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নজর কেড়েছেন তরুণ প্রজন্মের অভিনেতা অভিনেত্রীরা৷ রয়েছেন বিজেপি নেতাদের ‘সুযোগ্য’ পুত্ররাও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মাঠ ভবানীপুরে বিজেপির ট্রাম্পকার্ড অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ৷ তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করে ভবানীপুরে তৃণমূলের ঝাণ্ডা ওড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন জোড়া ফুল শিবিরের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে৷ তাঁর বিরুদ্ধে এবার গেরুয়া শিবির বাজি ধরল অভিনেতা রুদ্রনীলের উপরেই৷
বৃহস্পতিবার বিকেলে ১৪৮ জনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় নজর কেড়েছেন টলিপাড়ার একাধিক মুখ। বরাহনগর থেকে বিজেপির টিকিট পেয়েছেন অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। বেহালা পশ্চিমে বিজেপির প্রার্থী হলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আসানসোল দক্ষিনে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষের প্রতিদ্বন্দিতা করবেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি অগ্নিমিত্রা পল। গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী বেশ কয়েকজন নেতাও। বিধাননগর থেকে বিজেপির টিকিটে লড়বেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। পাণ্ডবেশ্বরে প্রার্থী হয়েছেন সদ্য বিজেপিতে নাম লেখানো ডাকাবুকো নেতা তথা আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বালি থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী বৈশালী ডালমিয়া।
বহুদিন পর ভোটের ময়দানে নামতে চলেছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিজপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন মুকুল রায়ের ‘সুযোগ্য’ পুত্র শুভ্রাংশু রায়। অন্যদিকে, ভাটপাড়া কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন অর্জুন সিং-এর ছেলে পবন সিং। তবে এদিনের প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত কেন্দ্র অবশ্যই ভবানীপুর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরের মাঠে তার বিশ্বাসী সৈনিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-এর বিরোধীতার সুযোগ দেওয়া হয়েছে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সুব্রত বক্সী। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে ভোটে লড়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরুদ্ধে ছিলেন বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। কিন্তু প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রীকে প্রায় ৫৪ হাজার ভোটে ধরাশায়ী করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এবারে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ কতটা মাটি কাড়তে পারেন সেটাই এখন দেখার।