এবার ‘শুভেন্দু গড়ে’ সভা করবেন খোদ মমতার! ছুড়বেন চ্যালেঞ্জ?

এবার ‘শুভেন্দু গড়ে’ সভা করবেন খোদ মমতার! ছুড়বেন চ্যালেঞ্জ?

তমলুক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে গত দশ বছর ধরে ক্ষমতাসীন শাসক দলকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলকে কোণঠাসা করতে একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে গেরুয়া শিবির। এর মাঝে ভোটের মুখে দলবদলের কালো মেঘও ঘনিয়ে এসেছে তৃণমূলের আকাশে।

নির্বাচনী আবহে দলের হাল ধরতে অবশেষে মাঠে নেমেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় দলে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল তার প্রত্যাঘাতটা তাই এবার স্বয়ং দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গেছে, নন্দীগ্রামের ‘ভূমিপুত্র’ শুভেন্দু অধিকারীর ‘চ্যালেঞ্জ’ স্বীকার করে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবার নন্দীগ্রামেই সভা করতে চলেছেন। ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০১১ সালে রাজ্যে দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম সাম্রাজ্যকে ধূলিস্যাৎ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার পিছনে নন্দীগ্রামের ঘটনাপ্রবাহের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এখন প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের ফলে সেই নন্দীগ্রামের শক্ত ঘাঁটিতেই তৈরি হয়েছে বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন। ভূমিপুত্র শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবার নাকি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবার কার দিকে ঝুঁকবেন নন্দীগ্রামের মানুষ? তৈরি হয়েছে জল্পনা।

তৃণমূল সূত্রের খবর, শুভেন্দুর পদত্যাগের পর থেকেই নন্দীগ্রাম নিয়ে তৎপর হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘শুভেন্দু গড়ে’ সভা করার কথাও ছিল তাঁর। কিন্তু দলের কার্যনির্বাহী জেলা সভাপতি অখিল গিরির অসুস্থতার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর সভা বাতিল হয়। এ নিয়ে তখন কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি বিদায়ী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী ‘ভয়’ পেয়েছেন, এমনটাই দাবি করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

নন্দীগ্রাম থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা আরো জানিয়েছিলেন, “এরপর যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন, তারপর আমি আবার আসব।” দলের প্রাক্তন বিধায়কের সেই চ্যালেঞ্জই স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে, নন্দীগ্রামের সভা থেকে দলত্যাগের পর প্রথম বার সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে মুখ খুলবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রামের এই সভায় জনগণের কেমন সাড়া মেলে, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে বঙ্গ রাজনীতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *