কলকাতা: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির অংশ হিসাবে বর্তমানে উত্তরবঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত ছয় জেলায় প্রায় ৩২টি সভা করেছেন অভিষেক৷ আগামীকাল মালদহে রয়েছে হাই ভোল্টেজ সভা৷ কারণ, এই সভায় অভিষেকের সঙ্গে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজই মালদহে পৌঁছে যাবেন তিনি৷ তবে আকাশ পথে নয়, মমতা মালদহে যাচ্ছেন ট্রেনে চেপে৷ হাওড়া স্টেশন থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরে মালদহে পৌঁছবেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর থেকে অধিকাংশ সময়ই হেলিকপ্টারে চেপে জেলা সফর করেছেন তিনি৷ এতে সময় যেমন বেঁচেছে, তেমনই একদিনে একাধিক বৈঠকে যোগ দিতে পেরেছেন৷ তবে সম্প্রতি তাঁকে বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, রাজকোষে অর্থের টান৷ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগও নতুন নয়৷ অনেক কষ্ট করেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প তিনি চালাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেছেন৷ তারই মাঝে মমতার রেল সফর তাৎপর্যপূর্ণ৷ যদিও রাজনৈতিক মহলে একাংশের মতে, এর পিছনে মমতার জনসংযোগ কর্মসূচিও থাকতে পারে৷ অনেকে আবার বলছেন, খরচ বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত৷
নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে হাওড়া স্টেশন থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেসে চাপবেন তিনি৷ রাতে মালদহে নামবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আগামীকাল মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর৷ একাধিক প্রশাসনিক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসও করবেন তিনি৷ পাশাপাশি যোগ দেবেন তৃণমূলের নবজোয়ারে৷ একই মঞ্চে যৌথ সভা করবেন অভিষেকের সঙ্গে৷
দুয়ারে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে বুথে বুথে সংগঠন মজবুত করার লক্ষে গ্রামে চলো-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিজেপি। বীরভূমের সভা থেকে লড়াইয়ের সুর বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুথ ছুঁয়ে পদযাত্রা ও গ্রাম জাগাওয়ের মতো কর্মসূচির পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের লক্ষ্য নিয়েছে সিপিএম। সাগরদিঘিতে তৃণমূলকে হারানোর পর মুর্শিদাবাদ-মালদা-পুরুলিয়া-উত্তর দিনাজপুরের মতো পুুরনো ঘাঁটিগুলিতে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ে মরিয়ে হয়ে উঠেছে কংগ্রেসও। সেই প্রেক্ষাপটে পঞ্চায়েত ভোটকে পাখির চোখ করে শুরু হয়েছে তৃণমূলের মেগা কর্মসূচি৷ যার অংশ হিসাবেই আগামীকাল এক মঞ্চে আসছেন মমতা-অভিষেক৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>