বহরমপুর: রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরের ভর্চুয়াল সভা থেকে ফের পুলিশের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন খোদ পুলিশমন্ত্রী৷ তাঁদের বুদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি৷
আরও পড়ুন- মাথায় বিপুল ঋণের বোঝ, আছে ফ্ল্যাট-গাড়ি, জেনে নিন সায়নী ঘোষের বিষয় আশয়
এগিন মমতা বলেন, নির্বাচন কমিশন সিআরপিএফ পাঠিয়ে বিজেপি’কে প্রতি মুহূর্তে মদত করেছে৷ আসানসোল, কলকাতা সহ সমস্ত জেলায় যাঁরা অপরাধী বলে চিহ্নিত, তাঁদের নিরাপত্তায় ১০ থেকে ২০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নিয়োগ করা হয়েছে৷ দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী অমিত শাহ তুলে নিয়ে বিজেপি’র নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তায় দিয়েছেন৷ তাঁরা এলাকায় এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যাচ্ছে৷ আর আমাদের বেচারা পুলিশ নির্বাচন কমিশন এলেই ভয়ে চুপ করে থাকে৷ তারা নিজেদের মস্তিষ্কের ব্যবহার করতে পারে না৷ তারা ভাবে নির্বাচন কমিশন একদিনের জন্য যা বলছে, সেটা শুনতে তারা বাধ্য৷ কিন্তু তার পরে যে পাঁচ বছর রয়েছে, সেটা ভুলে যায়৷
তোপ দেগে তিনি আরও বলেন, অবসরপ্রাপ্ত একজন অফিসারকে পুলিশ অবজার্ভার করা হয়েছে৷ ২০১৯ সালেও উনি রাজ্যে ভোট করেছিলেন৷ এখনও এখানে পড়ে রয়েছেন বিবেক দুবে৷ অবসরপ্রাপ্ত একজন অফিসার নিয়ন্ত্রণ করছেন ওয়ার্কিং অফিসারদের৷ যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনও কথা শুনতে নারাজ৷ কারণ নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপি’র আয়না৷
আরও পড়ুন- ফের করোনার কবলে বাবুল, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার, আক্রান্ত স্ত্রীও
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল বর্ধমান পশ্চিমে ভোট রয়েছে৷ সেখানে পুলিশকে দিয়ে সমস্ত বাড়ি বাড়ি লোক পাঠানো হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে তণমূলের এজেন্টদের বাড়িও। তাঁদের বলা হয়েছে সোমবার কেউ বাড়ি থেকে বেরবেন না৷ ভোট শেষ হলে বেরবেন৷ মমতা বলেন, কেন বেরবেন না? প্রত্যেকে বেরবেন৷ ভালোভাবে ভোট করাবেন। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসই ক্ষমতায় থাকবে৷ তাই আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও, সেটা দেখে নেবে সরকার৷ নির্বাচন কমিশন প্রত্যেক এসপিকে বদল করেছে৷ বিজেপি’র কথামতো কাজ করেছে৷ ভোটে যে ভাবে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে আগামীদিন সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি৷