চন্দ্রকোনা: বঙ্গ ভোটের উত্তপ্ত ময়দানে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলির আক্রমণের পালা। একে অপরকে বিদ্ধ করেছেন ঝাঁধালো শব্দবানে। এর আগেও বহুবার নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে নিয়ে বক্রোক্তি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ খোঁচা দিয়েছেন তাঁদের চেহারা নিয়ে। শুক্রবার চন্দ্রকোনার জনসভা থেকে মোদী-শাহকে বেনজির ভাবে আক্রমণ শানালেন তিনি৷ এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘রাক্ষস’ বলে বিঁধলেন তৃণমূল নেত্রী৷
আরও পড়ুন- ‘দিল্লির রাক্ষস বাংলা গিলতে এসেছে’, শাহকে বেনজির আক্রমণ মমতার!
এদিন মমতা বলেন, জ্ঞান দেওয়ার ক্ষমতা নেই জ্ঞানী সাজবার গোঁসাই৷ দাঁড়ি থাকলেই সবাই রবীন্দ্রনাথ হয়ে যায় না৷ যদি তাই হতো, তাহলে সবাই রবীন্দ্রনাথ সেজে থাকত৷ সকলকে চোর বলছে আর নিজেরা ডাকাতদের ঠাকুরদাদা৷ এদিন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েও একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, এই প্ল্যান আটকে রেখেছে কেন্দ্র৷ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান না করে দিল নরেন্দ্র মোদীর দফতরে দিয়ে ধরনা দেব৷ এর পর খোঁচা দিয়ে বলেন, খাবার দেওয়ার ক্ষমতা নেই কিল মারার গোঁসাই৷
প্রসঙ্গত, এর আগে অমিত শাহকে একাধিকবার ‘হোদল কুৎকুৎ’ বলে ব্যঙ্গ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন আরও একধাপ এগিয়ে বেনজির ভাবে তাঁকে ‘রাক্ষস’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি৷ নাম না করেই তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘‘দিল্লির এক হোদল কুৎকুৎ মন্ত্রী আছেন। যিনি বলছেন, বাংলাকে দেখে নেবেন৷ কী দেখবেন? রাক্ষস নাকি যে বাংলাকে গিলে খাবে? মমতাকে গিলে খাবে? আমাকে গিলে খেলেও আমি পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসবো।’’
আরও পড়ুন- ‘দাড়ি থাকলেই সবাই রবীন্দ্রনাথ হয় না’, নাম না করে মোদীকে একহাত মমতার
এদিন তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের মধ্যেও কিছু গদ্দার এসেছে৷ যারা সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাকি সংখ্যালঘু ভোট কাটবে৷ এরা বিজেপি’র কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট কাটার নাম করে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিচ্ছে৷ মিথ্যে কথা বলে বেরাচ্ছে৷