নন্দীগ্রাম: ‘যুদ্ধ’ শুরুর আগেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রামের ব্যাটেল গ্রাউন্ড৷ হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর শক্তি প্রদর্শনের লড়াইকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আঙিনায় ‘হাইভোল্টেড’ হয়ে উঠেছে নন্দীগ্রাম৷ আর এই কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভাবে অবাধ নির্বাচন নিয়ে আরও একবার কমিশনের কাছে প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বহিরাগত গুণ্ডা ঢোকানে নিয়ে একহাত নিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- ভোটের আগে কড়া নিরাপত্তায় নন্দীগ্রাম, চলছে নাকা চেকিং, রুট মার্চ, ড্রোনের নজরদারি
এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বহিরাহগত বলে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন বিরোধীরা৷ অন্যদিকে, অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে লাগামহীন আক্রমণ শানান তিনিও৷ নন্দীগ্রামের ভূমি আন্দোলনে চটি পরা পুলিশ ঢোকানোর মতো বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে৷ এমনকী আত্মপক্ষ সমর্থনে বলেন, ‘‘আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, আমি বহিরাগত? তুই কবে নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হলি? তুই তো কাঁথির ছেলে৷’’ শুধু তাই নয়, বারবার নন্দীগ্রামে বহিরাগত গুণ্ডা ঢোকানোর অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে৷ বলেছেন, ‘‘নন্দীগ্রামে বাইরে থেকে গুণ্ডা এনে রেখেছে মীরজাফররা৷’’ আর আজ নন্দীগ্রামের ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যহত হওয়ার পর ফের কমিশনকে একহাত নিলেন তিনি৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বহিরাগতরা নন্দীগ্রামে ঢুকছে৷ নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন করা হোক। তাঁর অভিযোগ, গোকুলনগর, বয়াল, বলরামপুরে বহিরাগতরা ঢুকছে৷ বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ঢুকে অশান্তি করেছে। এর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত৷ শুধু তাই নয় ভোটের আগে টাকা বিলি করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, ভারত সরকারের স্টিকার লাগানো গাড়ি করেই চলছে টাকা বিলি৷ ভোটের মুখে ফের নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিলেন তিনি৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ‘ব্যাটেল’ শুরু হওয়ার আগেই স্তব্ধ ইন্টারনেট, বেলাগাম সন্ত্রাসের ইঙ্গিত?
যদিও নন্দীগ্রামের প্রতিটি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ নন্দীগ্রামে প্রবেশ পথে চলছে নাকা চেকিং৷ পাশাপাশি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে চালানো হচ্ছে নজরদারি। বহিরাগত ও অপরিচিত প্রত্যেক ব্যক্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাইরে থেকে আসা প্রতিটি গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করা হচ্ছে৷ প্রবেশ পথে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় চলছে রুট মার্চ৷ নন্দীগ্রামে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় কড়া নিরাপত্তাজালে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷