mamata
কলকাতা: ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে সিকিম৷ বুধবার ভোরে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে ফেটে যায় লোনক হ্রদ৷ যার যেরে হড়পা বান আসে তিস্তায়৷ বিপদের মুখে পড়ে উত্তরবঙ্গও৷ ধুয়ে মুছে গিয়েছে একের পর এক বিদ্যুৎ প্রকল্প, জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে অংখ্য ঘরবাড়ি৷ কিন্তু কেন্দ্র যেভাবে সিকিমকে বিপর্যয় মোকাবিলায় সাহায্য করছে, সেভাবে উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে না৷ এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, ১০০ দিনের কাজ, কেন্দ্রীয় আবাস যোজনার মতো বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ত্রাণ থেকেও ‘বঞ্চিত’ বাংলা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, “আমরা ভিখারি নই। তবে বিভেদ মানব না।”
শনিবার টুইটে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মমতা বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক বিপর্যয়ে সিকিএমের মতোই এ রাজ্যের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের মানুষও বিপন্ন। হড়পা বাণের জেরে পশ্চিমবঙ্গের সংবেদনশীল চিকেন নেক এলাকা বিপর্যস্ত৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের সঙ্গে আমিও দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছি। একাধিক মন্ত্রী ও সিনিয়র আইএএস অফিসারদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। এমনকি সেনাবাহিনী ও সিকিম সরকারকে সবরকম ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছি”।
এদিকে, দার্জিলিংয়ের জন্য ইতিমধ্যে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে সাড় মেলেনি৷ তবে বিপর্যয়ের পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন। আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। শুক্রবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ফান্ড (সিডিআরএফ) থেকে সিকিমের জন্য ৪৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। কিন্তু বাংলার জন্য কোও বরাদ্দ মঞ্জুর করা হল না৷ যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমনকী অমিত শাহর মন্ত্রকের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তাতে একবারও বাংলার নাম উল্লেখই করা হল না৷
দিল্লির এই ‘বিভেদমূলক’ আচরণ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রাণহানি হয়েছে। সেখানকার মানুষের সঙ্গে কেন্দ্রের এই বিভেদমূলক আচরণে আমি হতবাক। আমরা ভিখারি নই। তবে বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সহায়তায় সাম্য় চাই। বিভেদমূলক আচরণ মানব না।”