কলকাতা: নবান্নে সাংবাদিকদের চক্করে একদিকে যেমন বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা লেলিয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলে সরব হলেন তিনি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলায় নির্বাচন আসছে, তাই তার আগে বাংলাতে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই কারণে অনেক এজেন্সি আসছে, অনেকে জেলেও ভরা হবে। এই প্রসঙ্গের পাশাপাশি কেন্দ্রের থেকে প্রাপ্য টাকা প্রসঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস একাধিকবার অভিযোগ তুলেছে, নির্বাচন এলেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাদের তৎপরতা বেড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছা করে রাজ্যকে বদনাম করার জন্য তাদের এখানে তদন্তের নাম করে পাঠিয়ে দেয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একই অভিযোগ তুললেন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, আর কয়েক মাস বাদে বাংলায় নির্বাচন, তাই বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই কারণেই একাধিক ইস্যুতে অনেক এজেন্সি পাঠিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্র। এই প্রেক্ষিতে তিনি দাবি করেন, এখন অনেক এজেন্সি আসবে বাংলায়, অনেককে জেলেও ভরা হতে পারে। কিন্তু বাংলার মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দিয়ে দেবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও বাংলার মানুষ ছাড়বে না, এই পরিপেক্ষিতে বিজেপিকে তৈরি থাকতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থ সাহায্যের কথা বলতে গিয়ে বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, আম্ফান ঘূর্ণিঝড় এর পরে বাংলায় এসে অনেক বড় বড় কথা বলা হয়েছিল, ত্রাণ দেবার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু আদতে কিছুই করা হয়নি। ১০০০ কোটি টাকা এডভান্স দিয়ে গেছে, সেটাও রাজ্যের পাওনা টাকা বলে দাবি করেন মমতা। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তারা কাউকে কিছু দেয় না, শুধু কেড়ে নিতে জানে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে বিজেপি এবং সিপিএমকে একহাত নেন তিনি। মমতা মন্তব্য করেন, তিনি আঁকেন বলে সবাই হিংসা করে। আঁকার টাকা দেওয়া হয়েছে বলে সবাই প্রশ্ন তুলছে। মমতার জবাব, তিনি যে টাকা দিয়েছেন তা মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে গেছে, রাজ্যপাল ত্রাণ তহবিলে গেছে। যে টাকা বেঁচে যে তার থেকে তিনি নিজের দলকে যদি কিছু দিয়েও থাকেন, তার জন্য কেন সমস্যা হবে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করে তিনি বলেন, ওদের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার কোনো হিসাব নেই, কোনো অডিট হয় না, কিছু হিসেব পাওয়া যায় না। তাহলে কেন প্রশ্ন করা হবে না।