শ্রম দফতরকে চাপে রাখলেন মমতা, বললেন ‘ইতিহাস হবে কাল’

কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বিভিন্ন কারখানায় ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি পালিত হচ্ছে না। ফলে সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা করেন এক আধিকারিক। সেই মুহূর্তে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে নাম ধরে ডেকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন মমতা।

কলকাতা: আগামী বছরেই পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যসভা নির্বাচন। এ রাজ্যে বিজেপিকে রুখতে হলে উন্নয়নই হাতিয়ার, তা সম্যক বোঝেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই প্রায় রোজই নবান্নে বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রী, আমলা এবং আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিভিন্ন পরিকল্পনা করে চলেছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রী আমলাদের কারও কাজে খুশি আবার কারও কাজে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করছেন মমতা। মঙ্গলবার যেমন শ্রম দফতরের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ওপর বেজায় খাপ্পা হয়ে উঠলেন মমতা।

কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে বিভিন্ন কারখানায় ঠিকমতো স্বাস্থ্যবিধি পালিত হচ্ছে না। ফলে সেখান থেকে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে, এমন আশঙ্কা করেন এক আধিকারিক। সেই মুহূর্তে শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে নাম ধরে ডেকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন মমতা। শুধু করোনা প্রোটোকল মানা হচ্ছে কি না তা দেখা নয়, শ্রমিকরা ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেন কি না তাও অনুসন্ধান করে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শ্রম দফতরে এত কর্মী রয়েছে, তাই কোনও কাজ যেন পড়ে না থাকে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন মমতা।

এদিকে আগামী কাল বিভিন্ন জেলায় ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফারের বন্দোবস্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী। অতিমারির কারণে দু’ তিন মাস ধরে স্তব্ধ হয়ে আছে এই কাজ। এবার একধাক্কায় সমস্ত দিয়ে দেওয়া হবে। এই কথা জানাতে গিয়ে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমস্ত ট্রান্সফারের হিসেব রাখতে নির্দেশ দিলেন। তাঁর মতে, সম্ভবত আগামী কাল রেকর্ড হতে চলেছে। একসঙ্গে এত পরিমাণ ট্রান্সফার আগে কখনও হয়নি। এটা ইতিহাস হতে চলেছে বলে মত মুখ্যমন্ত্রীর।     
    

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × two =