খড়গপুর: শনিবার দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলার ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। সেই সময়েই খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিশাল জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদির সরকারকে তুলোধোনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি রাজ্যের ভোটের পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ থেকে গুন্ডা পাঠানোর অভিযোগ করেও বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তিনি। আক্রমণ করতে ছাড়লেন না কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকেও।
এদিন মমতা তীক্ষ্ণ স্বরে বললেন, “নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী যে কোনও দলের প্রার্থী বুথে ঢুকতে পারে। কিন্তু আজকে ছাতনায় আমাদের প্রার্থী বুথে ঢুকতে গেলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। সাংবাদিককেও ধাক্কা দিয়ে বের করে দিচ্ছে। এগুলো কি? এত ঔদ্ধত্য কিসের? কী ভাবে অমিত শাহ? আপনি দেশ সামলান, বাংলার আইন সামলানোর জন্য আপনাকে দরকার নেই।” তৃণমূল সুপ্রিমো এরপর দেশের একের পর এক গরমাগরম ইস্যু নিয়ে বিজেপি সরকারকে তুলোধোনা করেন। তিনি বলেন, “দেশকে দেখছে না। দেশে দারিদ্রতা বেড়েই চলেছে। সব বেচে দিচ্ছে। রেল থেকে সেল সব বেচে দিচ্ছে। ব্যাঙ্ক বন্ধ করে দিচ্ছে। বীমা বেছে দিচ্ছে। দেশে বেকারত্ব বেড়েই চলেছে। মহিলাদের ওপর অত্যাচার বাড়ছে। আর এরা ভোট চাইতে আসে? লজ্জা করে না?”
তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, “বিজেপি সরকার এলে সব লুঠে নেবে। ওরা শুধু লুঠতে পারে। আর সব কিছু বেচে দিতে পারে। সব বেচে দেয় আর নিজের নামে স্টেডিয়াম বানায়। ওরা কিছুই করে না। শুধু মিথ্যে কথা বলে। মিথ্যেবাদী। কালকে আবার উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০টা গুন্ডাকে ৩০টা বন্দুক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে, এখানে ভোট লুঠ করার জন্য।” কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকেও এদিন কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। বললেন, “রেলমন্ত্রী কিছুই করে না। মানুষের জন্য কোনও সুবিধা দেয় না। শুধু বসে বসে পয়সা কামায়, রেলের ভাড়া বাড়ায়, আর সব বেচে দেয়।”