‘বাংলা পথ দেখিয়েছে, আগামী দিন সারা দেশে খেলা হবে’, বললেন মমতা

‘বাংলা পথ দেখিয়েছে, আগামী দিন সারা দেশে খেলা হবে’, বললেন মমতা

কলকাতা: ‘খেলা হবে’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়,  ‘খেলা হবে’ আজ খুবই জনপ্রিয়৷ সংসদে, দিল্লিতেও এই স্লোগান উঠছে৷ খেলা হবে স্লোগান উঠেছে উত্তরপ্রদেশ-রাজস্থানে৷ কিছুটা খেলা হয়েছে, খেলা আবার হবে৷ খেলা ছাড়া জীবন চলে না৷ খেলার মধ্যে দিয়েই ঐক্য, সম্প্রীতি, সুস্বাস্থ্য, সভ্যতা গড়ে ওঠে৷ 

আরও পড়ুন- BREAKING: বিষমদকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশার যাবজ্জীবন

তিনি জানান, বাংলায় খেলার পরিকাঠামো মজবুত করা লক্ষ্যে অনেক পদক্ষেপ করা হয়েছে৷ ৪০টি যুব নিবাস, ৭৪টি স্টেডিয়াম, ৭৯৩টি মিনি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, ৪ হাজারের বেশি মাল্টি জিম, ৪০০-র বেশি খেলার মাঠের উন্নয়ন, সুইমিং পুল, রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন স্টেডিয়াম, যুব ভারতী ক্রিড়াঙ্গন, ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডার্ন মাঠ, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি ‘খেলাশ্রী’ প্রল্পের আওতায় বিভিন ক্লাবকে আর্থিক সহায়তা করা হচ্ছে৷ ২৫ হাজার ক্লাবকে ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা করে গ্রান্ট দেওয়া হয়েছে৷ কমিউনিটি ডেভলপমেন্টের মাধ্যমে পুলিশও কয়েক হাজার ছেলেমেয়েকে খেলাধুলো করাচ্ছে৷ কোচিং ক্লাবগুলোকেও সাহায্য করা হচ্ছে৷ তাই ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে চিরস্থায়ী করতে হলে বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে, কর্মসূচির মাধ্যমে তা কার্যকরী করতে হবে৷ 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই স্লোগান এতটাই জনপ্রিয় যে গ্রামে গঞ্জে আমি যেতে না যেতেই শুরু হয়ে যেত ‘খেলা হবে’৷ বাংলা পথ দেখিয়েছে, আগামী দিন সারা দেশে খেলা হবে৷ ১ লক্ষ গরিব ক্লাবের জন্য ফুটবল তৈরি করা হয়েছে৷ ১৬ অগাস্ট হবে খেলা হবে দিবস৷ গানের মাধ্যমে এই স্লোগানকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বানও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ খেলা হবে স্লোগান আলোড়ন সৃষ্টি করবে৷ আইএফ-এর অধীনে থাকা ৩০৩ টি ক্লাবের প্রতিটি ক্লাবকে ১০ টি করে ফুটবল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি৷ এছাড়াও ইস্ট বঙ্গল, মোহনবাগান ও মহামেডানকে ১০০টি করে বল দেওয়া হবে৷ ১৬ তারিখে যাঁরা খেলবেন, সেই সকল ক্লাবকেও ১৫ হাজার টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাদান, মহমেডর্ন সকলেই আইএসএল খেলুক৷ এদিন মঞ্চ থেকে নিজে বলেও ছোড়েন মুখ্যমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর জরিমানা বাবদ ৫ লাখ টাকা কোথায় গেল? হাইকোর্টে বিজেপির বিক্ষোভ

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “স্বাস্থ্য ইঙ্গিত” নামে একটি প্রকল্প রাজ্যের টেলিমেডিসিন এ অন্তর্ভুক্ত করা হল। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়া হবে। রাজ্যের বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে যেসব স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে সেখান থেকেই টেলিমেডিসিন প্রকল্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ পাবেন যে কোনও রোগী বা রোগীর পরিবার।  
  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × three =