বাংলায় ৩০০০ বেডের করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ছে মমতা সরকার!

বাংলায় ৩০০০ বেডের করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র গড়ছে মমতা সরকার!

01584e32219e0480c55bbcc8a3e6a0d2

কলকাতা: করোনা রুখতে নয়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ করোনা রুখতে আর নয় পৃথক পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসা৷ নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারে রাজ্য৷ নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে ৩ হাজার বেডের করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলার চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য৷ সব ঠিক থাকলে পরবর্তীকালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ কি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হতে পারে বলে শুরু হয়েছে জল্পনা৷

করানোর জন্য পৃথক একটি হাসপাতাল নির্দিষ্ট করার পথে হাঁটতে চলেছে রাজ্য৷ করোনা সংক্রান্ত রোগীদের একটি হাসপাতালে পাঠানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷ ৩  হাজার বেডের পরিকাঠামো নির্মাণের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরা যায় কি না তা নিয়েও চলছে আলোচনা৷ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মুহূর্তে ২৬০০ শয্যা সংখ্যা রয়েছে৷ সেই শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ৩ হাজার করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ গোটা হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে তৈরি করা যায় কি না, তার পরিকাঠামো নিশ্চিত করতে শুরু হয়েছে উদ্যোগ৷

যদিও সেই চিন্তা ভাবনায় এখনও সরকারি কোন সীলমোহর পড়েনি৷ তবে আলোচনা বহুদূর গড়িয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ মেডিক্যালের সুপার স্পেশালিটি ভবনকে ৩০০ বেডের করোনা ওয়ার্ড করা হয়েছে৷ ওই ভবনের দু’টি তল করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট করা হচ্ছে৷ বাকি ভবনে করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য রোগীদের ভর্তি করার বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে৷ যদি কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়, তার আগে এই মুহূর্তে ভর্তি রোগীদের কোথায়, কীভাবে স্থানান্তরিত করা যায়, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷ যদিও এই গোটা বিষয়টি করতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে৷ সেই সমস্ত কাজ শেষ করার পর রাজ্য সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে বলে সূত্রের খবর৷

যদিও এর আগে চিন সরকার মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ৯০০ শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণ করে নজির গড়েছিল৷ এবার সেই চিনা প্রশাসনের দেখানো পথে অনুসরণ করতে চলেছে রাজ্য সরকার৷করোনা আক্রান্তদের জন্য একটি পৃথক হাসপাতাল ব্যবস্থা করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *